এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আঁকা ব্যঙ্গচিত্র মামলায় ইতি টানলো হাইকোর্ট

মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আঁকা ব্যঙ্গচিত্র মামলায় ইতি টানলো হাইকোর্ট


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি তামিলনাড়ুর ব্যঙ্গচিত্রশিল্পী বালামুরুগান বা বালা মুখ্যমন্ত্রী, জেলাশাসক ও পুলিশ কমিশনারকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ব্যঙ্গচিত্র পোস্ট করেছিলেন। যে চিত্রে দেখা গিয়েছিল অগ্নিদগ্ধ এক শিশুর পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনজন ব্যক্তি, যাদের চোখ বন্ধ, পোশাকের পরিবর্তে তারা নোটের বান্ডিল আচ্ছাদিত। এই তিনজন ব্যক্তির পাশে মুখ্যমন্ত্রী, জেলাশাসক ও পুলিশ কমিশনার লেখা ছিল। এই ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের পর তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে জেলাশাসক পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরে ব্যঙ্গচিত্র শিল্পী বালামুরুগানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে, শেষ পর্যন্ত মামলায় জামিন দেয়া হলো ব্যঙ্গচিত্র শিল্পীকে। আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হলো, নিজেকে প্রকাশ করার অধিকার একজন শিল্পীর আছে। আর সমাজকে নীতি শিক্ষা দেওয়া আদালতের কাজ নয়।

প্রসঙ্গত, গত ২০১৭ সালে তামিলনাড়ুতে এক পরিবার আর্থিক সমস্যায় পড়ে মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছিল। জানা যায়, চড়া সুদে মহাজনের ঋণ মেটাতে তাঁরা সক্ষম হননি। এরপর শুরু হয় মহাজনের অত্যাচার। পুলিশ, প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও যা থেকে রেহাই মেলেনি। বারবার অভিযোগ করার পরেও প্রশাসন সম্পূর্ণ নীরব ছিল। শেষপর্যন্ত সর্বসমক্ষে গায়ে আগুন দিয়ে এই পরিবারের সদস্যরা আত্মহত্যা করেন। যাদের মধ্যে এক শিশুও ছিল। তিরুনেলভেলির জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে তারা এভাবে প্রাণ বিসর্জন দেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই ঘটনা বহু মানুষকে ক্ষুব্ধ করে। পুলিশ-প্রশাসনের কার্য নিয়েও প্রশ্ন করতে শুরু করেন অনেকে। আর একেই বিষয় করে ব্যঙ্গচিত্র এঁকেছিলেন তামিলনাড়ুর বিখ্যাত ব্যঙ্গচিত্র শিল্পী বালামুরুগান। প্রশাসনের অসার অবস্থাকে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন তিনি। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী, পুলিশ কমিশনার, জেলাশাসক সকলেই নিশ্চুপ হয়ে শিশুর মৃত্যু দেখেছেন, কিন্তু কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন জেলাশাসক।

শিল্পীকে গ্রেফতার করা হয়। তবে, হাইকোর্ট এই মামলার শুনানিতে তাঁকে জামিন দিয়েছে। আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, একজন শিল্পীর নিজেকে প্রকাশ করার সম্পূর্ণ অধিকার আছে। আদালতের কাজ সমাজকে নীতিশিক্ষা দেওয়া নয়। ব্যঙ্গচিত্রকে সংশ্লিষ্ট প্রসঙ্গ থেকে যদি বিচ্ছিন্ন করে বিবেচনা করা হয়, তবে, আর তার প্রাণ থাকেনা। এভাবেই শিল্পীর স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণ স্বীকৃতি দিল হাইকোর্ট। আর এই ব্যঙ্গচিত্র পুলিশ প্রশাসন ও আইনের প্রকৃত অবস্থাকেই যেন চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!