এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুখ্যমন্ত্রীকে সেরা বাঙালি নারী, জননেত্রী বলে সম্ভাষণ প্রয়াত বামপন্থী নেতার অধ্যাপিকা কন্যার

মুখ্যমন্ত্রীকে সেরা বাঙালি নারী, জননেত্রী বলে সম্ভাষণ প্রয়াত বামপন্থী নেতার অধ্যাপিকা কন্যার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলাতে নিবন্ধ লিখেছেন প্রয়াত সিপিএম নেতা অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তা বিশ্বাস, পেশায় যিনি অধ্যাপিকা। তাঁর নিবন্ধের শেষ পর্যায়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন তিনি। যেখানে তাঁকে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, জননেত্রী, সেরা বাঙালি নারী হিসেবে ভূষিত করেছেন তিনি। ছাত্র রাজনীতি দিয়ে শুরু করে কিভাবে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে উঠেছেন তিনি। তার বিশ্লেষণ করেছেন তিনি। তাঁর এই নিবন্ধ নানা জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছে তীব্র ভাবে।

প্রসঙ্গত বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূলের মুখপত্রে নিবন্ধ লিখেছেন অধ্যাপিকা অজন্তা বিশ্বাস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে তিনি কি লিখবেন? সেদিকে সকলের কৌতূহল ছিল। আজ প্রকাশিত তাঁর নিবন্ধের শেষ কিস্তিতে মুখ্যমন্ত্রীর কথা লিখেছেন তিনি। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের স্ত্রী বাসন্তী দেবী থেকে শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর্যন্ত বিভিন্ন দলের মহিলা নেত্রীদের সম্পর্কে নিবন্ধ লিখেছেন অজন্তা বিশ্বাস। মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে তিনি লিখেছেন একজন রাজনৈতিক নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা বিশ্বের কাছে নজির সৃষ্টি করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক ইতিহাসে বাঙালি নারী হিসেবে নিজেকে অন্যতম সেরা বলে প্রমাণিত করতে পেরেছেন তিনি। বাঙালি নারীর জয়যাত্রা তিনি প্রশস্ত করেছেন। বারবার কঠিন লড়াইয়ে জিতে অগ্নিকন্যা, দিদি, ঘরের মেয়ে হয়ে উঠতে পেরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সক্রিয় রাজনীতিতে তাঁর উত্থান বাংলার রাজনৈতিক পরিসরে মহিলাদের সামগ্রিক অবস্থার পরিবর্তন এনেছে। সিঙ্গুর আন্দোলন প্রসঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি। কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো মহিলাদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের দ্বারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মেয়েদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন বলে, লিখেছেন তিনি।

তিনি লিখেছেন, একটা সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মহিলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সেখান থেকে যাদবপুরের সাংসদ হয়েছেন। পরবর্তীতে কেন্দ্র সরকারের মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। ১৯৯৮ সালে তৃণমূল গঠন করেছেন। কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। তিনি লিখেছেন, একজন বাঙালি নারী হিসেবে একটি নতুন সর্বভারতীয় দলের প্রতিষ্ঠা করে এক নতুন ইতিহাস রচনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন তিনি। মহিলাদের জন্য স্পেশাল ট্রেন তিনি চালু করেছিলেন। আবার মহিলা সংরক্ষণ বিলকে তিনি সমর্থন জানিয়েছিলেন। ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করে ইতিহাস রচনা করেছেন।

প্রয়াত সিপিএম নেতার কন্যার এভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে প্রশংসা দেখে নানা জল্পনা তীব্র হয়ে উঠেছে। তাঁর এই প্রচেষ্টার জন্য সিপিএমের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয় কিনা? সে প্রশ্নও উঠেছে। তৃণমূলের মুখপত্রতে কেন তিনি নিবন্ধ লিখেছেন? উঠেছে নানা প্রশ্ন। তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, পিতা অনিল বিশ্বাসের মৃত্যুর পর দলের সঙ্গে তাঁর পরিবারের যোগাযোগ তেমন একটা ছিল না। আবার সম্প্রতি তাঁর পরিবারের খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একারণেই রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ প্রশংসা করেছেন তিনি। তবে, তাঁর এই কার্যকলাপ রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্ন ও নানা জল্পনার জন্ম দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অনুগত হয়ে এবার তিনি দলবদল করেন কিনা? সেদিকেও দৃষ্টি রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!