মুখ্যমন্ত্রীর আহবানে তৃণমূলের মঞ্চে বহু বিরোধী নেতৃত্ব, মহাজোটের সোপান নির্মাণের তীব্র জল্পনা কংগ্রেস জাতীয় তৃণমূল রাজনীতি July 21, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশে জুলাই এর দিনে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য দেশের প্রান্তে প্রান্তে শোনাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যার অন্যতম হলো দিল্লি। দিল্লিতে শহীদ দিবসের কর্মসূচিতে বিরোধী নেতৃত্বদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। তৃণমূলের আমন্ত্রণে শহীদ দিবসের মঞ্চে উপস্থিত হতে দেখা গেলো একের পর এক বিরোধী নেতৃত্বকে। কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, আকালি দল, এনসিপি সহ একাধিক দলের নেতা-নেত্রীরা উপস্থিত হলেন শহীদ দিবসের মঞ্চে। আজ দিল্লিতে শহীদ দিবসের মঞ্চে দেখা গেল কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরম,কংগ্রেস সাংসদ দ্বিগবিজয় সিং, সমাজবাদী পার্টির সাংসদ রামগোপাল যাদব, এনসিপি সাংসদ শরদ পাওয়ার, সুপ্রিয়া সুলে প্রমুখদের। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক জয়লাভের পর দেশ জয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তৃণমূলের। তাই সমস্ত বিরোধী নেতৃত্বকে এক ছাতার তলে আনার সিদ্ধান্ত রয়েছে তৃণমূলের। ২১ সে জুলাই পালনের মাধ্যমে দেশের বিরোধী নেতাদের একসূত্রে আনার পরিকল্পনা। আজ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে তৃণমূলের মঞ্চে উপস্থিত হলেন দেশের একাধিক বিরোধী নেতৃত্ব। যা জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে এক নতুন সমীকরণ বলে মনে করছেন একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে, আগামী ২৫ সে জুলাই দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হবার সম্ভাবনা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বেশ কিছুদিন দিল্লিতে থাকতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এসময় প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে যেমন তিনি বৈঠক করবেন। তেমনি একাধিক বিরোধী নেতা-নেত্রীর সঙ্গেও তাঁর সাক্ষাৎ করার সম্ভাবনা রয়েছে। তার পূর্বেই আজ একুশে জুলাই পালনের মধ্য দিয়ে সমস্ত বিরোধী নেতৃত্বকে এক ছাতার তলায় আনার পরিকল্পনা তৃণমূলের। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই রাজনৈতিক মহলের দাবি। অনেকে মনে করছেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে সর্বভারতীয় স্তরে নতুন করে মহাজোট গঠনের আহ্বান আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনের পূর্বেও একাধিক বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের কলকাতায় এনে ইউনাইটেড ইন্ডিয়া র্যালি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসময় গুজরাট থেকে পাতিদার আন্দোলনের নেতা হার্দিক প্যাটেল যেমন এসেছিলেন, তেমনি এসেছিলেন শরদ পাওয়ার, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, তেজস্বী যাদব, শত্রুঘ্ন সিনহা, জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহ, কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌরা প্রমুখরা। যদিও সেবার তৃণমূলের এই প্রয়াস সফল হতে পারেনি। সেভাবে জোট বাঁধতে দেখা যায় নিয়ে বিরোধীদের। যার সুবিধা অনেকটাই পেয়েছে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। কিন্তু, এবার বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল যেভাবে বিজেপিকে রুখে দিতে পেরেছে, তাতে জাতীয় রাজনীতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রহণযোগ্যতা আরো অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে, মনে করছেন একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক। এই পরিস্থিতিতে আজকের এই উদ্যোগ যথেষ্ট রকম সফল হবার সম্ভাবনা আছে বলেই, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। রাজনীতি হলো একটি সম্ভাবনার শিল্প। যেকোনো সময় পরিবর্তন ও পালাবদল ঘটতে পারে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে। কখন কার সাফল্য? ও কখন কার ব্যর্থতা আসে? অনেক ক্ষেত্রেই তার পূর্বাভাস দেওয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। আপনার মতামত জানান -