এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়শী প্রশংসা নির্বাচনের সময় তাঁকে চ্যালেঞ্জ ছোড়া পুলিশকর্তার, আচমকা ভোলবদলে বিস্মিত অনেকে

মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়শী প্রশংসা নির্বাচনের সময় তাঁকে চ্যালেঞ্জ ছোড়া পুলিশকর্তার, আচমকা ভোলবদলে বিস্মিত অনেকে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নন্দীগ্রামে ভোটের দিন বয়ালের বুথে সেসময়ের পুলিশ পর্যবেক্ষক নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে বচসা বেঁধেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মুখ্যমন্ত্রীকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ করেছিলেন তিনি। এরপর তাঁকে বীরভূমের এসপি পুলিশ সুপারের পদে আনা হলে কমিশনের সঙ্গে রাজ্যের বিরোধ বাধে। কিন্তু এবার মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়শী প্রশংসা করলেন নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী। তিনি জানালেন, তৃণমলের সময় পুলিশ মানবিক হয়েছে।

গতকাল বীরভূমের সাঁইথিয়ার সাংড়ায় এক নতুন প্রকল্পের সূচনা করলেন পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী। যে প্রকল্পটি হলো আপনার পাড়ায় আপনার থানা। এলাকার কোন মানুষ বিপন্ন হয়ে যদি পুলিশের সাহায্য চান, তবে থানায় যাবার প্রয়োজন হবে না। গ্রামের পঞ্চায়েত দপ্তরে এসে অভিযোগ জানালে, সেখান থেকেই পুলিশের কাছে তা জমা দেয়া হবে। প্রতি সপ্তাহে থানা থেকে অফিসার এসে সেই অভিযোগ দেখবেন। তখন তাঁর কাছে সরাসরিও অভিযোগ করা যাবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকাল এই প্রকল্পের উদ্বোধন কালে বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী জানালেন যে, বাম সরকারের সময় পুলিশ শাসকের ভূমিকায় ছিল। কিন্তু মা মাটি সরকারের পুলিশের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটেছে। এখন পুলিশ মানবিক। পুলিশ আগেও কাজ করতো। কিন্তু বাম সরকারের সময়ে পুলিশ সম্পর্কে ধারণা ছিল যে, পুলিশ লাঠি হাতে এসে দুষ্ট ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যাবে। কখনো পুলিশ ভালো লোককেও ধরে নিয়ে যেত।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে রাজ্যে কমিউনিটি পুলিশিং বাড়ানো হয়েছে। জঙ্গলমহল কাপ, রাঙ্গামাটি কাপ খেলার আয়োজন করা হয়, রক্তদান শিবিরেরও আয়োজন করা হয়। পুলিশ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে থাকে। বীরভূমের এই নতুন প্রকল্প সম্পর্কে তিনি জানালেন যে, অনেক বিষয় আছে যা থানায় গিয়ে সব সময় বলা হয় যায় না। ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হলে, বা ব্লক করা হলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে কেউ থানায় যান না। কোন স্কুলের সামনে ইভটিজিং করা হলে, তা নিয়ে সাধারণত কেউ থানায় যেতে চান না।

কিন্তু পাড়ায় যদি পুলিশ আসে, তবে এই সব সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে। এছাড়া পাড়ার বহু বয়স্ক মানুষ অসুস্থ রয়েছেন। যাদের বাড়ির লোক বাইরে রয়েছেন। তাদের খাবার, ঔষধ পৌঁছে দেবার দায়িত্ব নেবে পুলিশ। প্রসঙ্গত, ভোটের সময় এই নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠীকেই বলতে শোনা গিয়েছিল যে, উর্দিতে তিনি কোন দাগ লাগতে দেবেন না। ভোট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছিলেন তিনি। এরপর, তাঁকে দেখা যাচ্ছে যে, মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করতে, মুখ্যমন্ত্রীর আমলে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করতে। তাঁর এই অকস্মাৎ ভোলবদল অনেককেই বিস্মিত করেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!