এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি যাত্রা কি প্রশান্ত কিশোরেরই কৌশল? কি বলছেন বিশ্লেষকরা? জানুন বিস্তারিত

মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি যাত্রা কি প্রশান্ত কিশোরেরই কৌশল? কি বলছেন বিশ্লেষকরা? জানুন বিস্তারিত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – চলতি মাসের শেষ দিকে দিল্লি যাবার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কবে তিনি দিল্লি যাচ্ছেন? তা তিনি স্পষ্ট করে জানান নি। আবার দিল্লি গিয়ে একাধিক নেতৃত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি, সে কথা তিনি জানিয়েছেন। তৃণমূল সূত্রের খবর, দিল্লিতে সোনিয়া গান্ধী সহ একাধিক বিরোধী নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করার সম্ভাবনা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অনেকেই প্রশ্ন করছেন, মুখ্যমন্ত্রীর এই দিল্লি যাওয়া কি সম্পূর্ণটাই পূর্বপরিকল্পিত? ভোট কুশলী পিকের পরিকল্পনা মাফিক কি তিনি দিল্লি যাত্রা করছেন?

প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর থেকে জাতীয় রাজনীতিতে পদার্পণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাসকদল তৃণমূল। আর এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর সহায়ক হয়ে উঠেছেন ভোট কুশলী পিকে। গত লোকসভা নির্বাচনের পর বিপর্যস্ত হয়ে পড়া তৃণমূলকে শক্তিশালী জায়গায় পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। আর এবার তৃণমূলকে দেশ দখলের লক্ষে পৌঁছে দিতে চাইছেন প্রশান্ত কিশোর। আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতার দায়িত্বে থাকবেন প্রশান্ত কিশোর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দেশের একাধিক বিরোধী নেতৃত্ব অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অখিলেশ যাদব, মায়াবতী, শারদ পাওয়ারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অনেকে মনে করছেন, এর পেছনে রয়েছে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের কৌশল। সম্প্রতি রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। অনেকে মনে করছেন, মুখ্যমন্ত্রীর এবারে দিল্লি যাত্রা প্রশান্ত কিশোরের এই বৈঠকের পরবর্তী পদক্ষেপ। আগামী লোকসভা নির্বাচনের ব্লু প্রিন্ট এখন থেকেই তৈরি করছেন প্রশান্ত কিশোর। মুখ্যমন্ত্রীকে বিরোধী দলের মুখ করে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর।

তবে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেন, এমন মুখ বিরোধীদের পক্ষে তুলে ধরা সহজ ব্যাপার নয়। এ প্রসঙ্গে শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন যে, নরেন্দ্র মোদির নামটাই যথেষ্ট। তাঁকে পরাজিত করতে গেলে বিশেষ মুখের প্রয়োজন। এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মুখ হয়ে উঠতে পারেন কিনা? এমন প্রশ্ন রয়েছে সকলের। তবে, বিধানসভা নির্বাচনে অভূতপূর্ব জয়ের পর যেভাবে তাঁর গুরুত্ব বাড়ছে, তাতে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারেন, এমন একটা সম্ভাবনাও রয়েছে। আর এবিষয়ে তাঁর সহায়ক হয়ে উঠেছেন পিকে। সমস্ত বিষয় নিয়ে বাড়ছে নানা সম্ভাবনা ও নানা জল্পনা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!