মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফর, কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠককে প্রবল কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের জাতীয় তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য July 30, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিজেপি বিরোধী মহাজোট গঠনের উদ্দেশ্য নিয়ে দিল্লি সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশে জুলাই এর মঞ্চ থেকে বিরোধীদের একজোট হওয়ার বার্তা দিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। আর এবার দিল্লি গিয়ে একাধিক বিরোধী নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করছেন তিনি। সম্প্রতি রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই বিষয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে প্রবল কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রবল কটাক্ষ করলেন তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে। সম্প্রতি, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকের পর তিনি জানিয়েছেন যে, কংগ্রেসের দুই শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে। আর এ বিষয় নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। ফেসবুকে সোনিয়া গান্ধীর বাসভবন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বেরিয়ে আসার ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানে তিনি লিখেছেন যে, রাহুল গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানিয়েছেন, নিজের আসনে পরাজিত হওয়ার জন্য। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস শূন্য হয়ে যাবার জন্য। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - নন্দীগ্রামে বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হবার জন্য ইতিপূর্বে মুখ্যমন্ত্রীকে বারবার নন এমএলএ সিএম বলে কটাক্ষ করে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার একই ধরনের কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফরকে বিজেপির একের পর এক নেতা প্রবল কটাক্ষ করেছেন। এ বিষয়ে কটাক্ষ করতে দেখা যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন যে, সরকারের বিরুদ্ধে বাকিদের এক হওয়া ৫০ বছর ধরেই দেখছেন তিনি। কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন বাকিরা লাফালাফি করছে। এখন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আছে, তাই বিজেপি সরকার বিরোধী জোট গঠনের চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি জানালেন, পশ্চিমবঙ্গের একটা অসুখ আছে, তা হলো এখানকার রাজ্য সরকার যখন বিফল হয়ে যায়, তখন কেন্দ্রে রাজনীতি করতে চলে আসে। জোটের নেতা কে হবেন? অন্যান্য বিষয় কি হবে? তার কোনো কিছুই ঠিক হয়নি। ২০১৯ সালেও এরকম একটি চেষ্টা হয়েছিল। যার ফল পরিষ্কার। ২০২৪ সালেও এমনটাই ঘটবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিকল্প তৈরি হতে দেরি আছে। যতদিন নরেন্দ্র মোদি আছেন, ততদিন চিন্তা নেই। বিরোধীদের কাছে কোনো ইস্যু না থাকায় পেগাসাস নিয়ে সংসদ বন্ধ করার চেষ্টা করছে। সাধারণ মানুষের এসব নিয়ে কোন চিন্তা নেই। তারা চাকরি-বাকরি নিয়ে চিন্তা করছেন। সাধারণ মানুষ খেলা হবে শুনতে চান না। চাকরি হবে শুনতে চান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়ন মূলক কোন কাজ করতে পারছেন না। দুর্নীতি বন্ধ করতে পারছেন না। হিংসা বন্ধ করতে পারছেন না। আইনশৃঙ্খলার অবস্থাও রাজ্যে অত্যন্ত খারাপ। তাই এই ধরনের ইস্যু নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। আপনার মতামত জানান -