এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফরের প্রাক্কালে প্রবল কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের, পলিটিক্যাল ট্যুরিজম বলে আখ্যা

মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফরের প্রাক্কালে প্রবল কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের, পলিটিক্যাল ট্যুরিজম বলে আখ্যা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশে জুলাই এর মঞ্চ থেকে বিরোধীদের একজোট হওয়ার বার্তা দিতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবার দিল্লি সফরে যেতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যেমন তিনি বৈঠক করতে পারেন। তেমনি তাঁর বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে দেশের একাধিক বিরোধী নেতা-নেত্রীর সঙ্গে। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে মহাজোটের সলতে পাকানোর উদ্দেশ্যেই তাঁর এই দিল্লি সফর বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতামত। এবার এ প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রীর এই দিল্লি সফরকে ‘পলিটিক্যাল ট্যুরিজম’ বলে আখ্যা দিলেন তিনি।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, পশ্চিমবঙ্গে আইন শৃংখলার যে অবস্থা চলছে, যেভাবে হিংসা চলছে, বেকারত্ব বাড়ছে, ভ্যাকসিন নিয়ে দুরবস্থা দেখা দিয়েছে, সেই হাহাকার থেকে নজর ঘোরাতেই দিল্লি সফর করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি বলতে চান যে, তাঁকে দিল্লি দেখতে হবে না, তিনি বরং বাংলাই দেখুন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিল্লি দেখে নেবেন। তিনি জানালেন, ২০১৯ এও দিল্লি গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সমস্ত নেতাদের ডেকে কলকাতায় সভা করে মাছ-ভাত খাইয়েছিলেন তিনি। তারপরে কি ফলাফল হয়েছিল? তা সকলেই জানেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের আসন কমে যায়। ২০২৪ এর নির্বাচনে তৃণমূল লড়াই করতে পারবে কিনা? তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তিনি জানালেন, ২০১৯ এ ২৮২ থেকে ৩০৩ এ পৌঁছে গেছে বিজেপি। সেখানে তৃণমূলের ১২ টি আসন কমেছে। বাকি বিরোধীরা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। অনেকের লোকসভায় কোন প্রতিনিধিত্বই নেই। এই দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিশ্বাস করেন, বিজেপিকে বিশ্বাস করেন।

তৃণমূলের মত আঞ্চলিক দলগুলি সাময়িকভাবে শুধু মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারে। তবে আখেরে কোন লাভ হয় না। এছাড়া তৃণমূলে যেভাবে শুরু হয়েছে খুনোখুনি। তাতে ২০২৪ এ এই দল লড়তে পারবে কিনা? সন্দেহ আছে।বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন, মুখ তৈরি করাটা একটা বাতিক হয়ে গেছে। একসময় জ্যোতি বসুকেও মুখ করে তোলার চেষ্টা হয়েছিল। তিনি চলে গিয়েছেন। সিপিএম শেষ হয়ে গেছে। মানুষ তৃণমূলকে জেতালো কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়ে দিয়েছেন। তাই এখন পদোন্নতি চাইছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হবার স্বপ্ন দেখছেন। তবে আখেরে কোন লাভ হবে না।

এর পরবর্তীতে তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে বেশ কিছু সমস্যা চলছে। চলছে হিংসা, ভ্যাকসিন নিয়ে চলছে দুর্নীতি, ভুয়ো অফিসার নিয়ে সাধারন মানুষ জেরবার হয়ে পড়েছেন। এই পরিস্থিতি থেকে খানিকটা রিলাক্স করতে দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করবেন। বলবেন যে, বেতন দিতে পারছেন না মানুষকে, সেবা দিতে পারছেন না, একটু সহযোগিতা করুন না হলে সরকার চালানো কঠিন হয়ে পড়বে। পেগাসাস ইস্যু সম্পর্কে তিনি জানালেন, পেগাসাস খায় না মাথায় দেয়? সাধারণ মানুষ তা বোঝেন না। এটা কোন বিষয়ই নয়।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!