প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমের সামনে একটি অডিও ক্লিপিংস পেশ করা হয়। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং কাতর অনুরোধ জানাচ্ছেন জনৈক বিজেপি নেতা প্রলয় পালকে। মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে কাজ করার, মুখ্যমন্ত্রীকে জিতিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছেন তিনি। এই অডিও টেপ সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে কি সাড়া দেবেন বিজেপি নেতা? এ প্রশ্ন রয়েছে এখন সকলের মুখে।

শেষ পর্যন্ত নিজের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করেছেন বিজেপি নেতা প্রলয় পাল। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ রাখতে পারছেন না তিনি। মুখ্যমন্ত্রীকে একথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। এক বছর বা দু বছর নয়, ১০ বছর ধরে বিজেপির সঙ্গে রয়েছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিজেপি করছেন। বিজেপি দলের জন্য নিজের প্রাণ দিতেও প্রস্তুত আছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, শুভেন্দু অধিকারী হলেন তাঁর দলের প্রার্থী। তাঁকে জিতিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক করবেন তিনি।

উল্লেখ্য, একসময় মুখ্যমন্ত্রীর কাছের মানুষ ছিলেন প্রলয় পাল। কিন্তু তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে শেষপর্যন্ত তিনি যোগদান করেছিলেন বিজেপিতে। তবে মনে রাখতে হবে, এখনকার দলবদলের মরসুমে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেননি। গত, ২০১১ সালেই বিজেপিতে যোগদান করেছেন তিনি। যে সময় তিনি বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন, সে সময় হাতে গোনা কয়েকজন নেতা ছিল বিজেপির। দল শক্তিশালীও ছিল না। তৃণমূল এর বিরুদ্ধে একাধিক চুরির অভিযোগ করেছিলেন তিনি।

গতকাল প্রলয় পাল জানিয়েছেন, চুরি নিয়ে যখন তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কোনো খোঁজ নেননি, এখন তিনি তাঁর খোঁজ নিচ্ছেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেননি তিনি। পরবর্তীকালেও তিনি শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেননি। তিনি জানিয়েছিলেন, তৃণমূলে একটাই পোস্ট, বাকি সব ল্যাম্পপোস্ট। আবার, অধিকারী পরিবারের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ চল্লিশ বছরের সম্পর্কের কথাও জানিয়েছেন বিজেপি নেতা প্রলয় পাল।

এক কথায়, নিজের স্বার্থের জন্য যে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেছেন, সে কথা কখনোই বলা যাবে না। অধিকারী পরিবারের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, নন্দীগ্রামের মানুষ যখন সিপিএমের হাতে অত্যাচারিত হয়েছিল, তখন এই অধিকারী পরিবার মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল। এ কারণে তিনি এই পরিবারের প্রতি চির কৃতজ্ঞ। আর, এবার বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাই তাঁকে জেতাতে সমস্ত রকম চেষ্টা করবেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে তিনি কখনোই সাড়া দিচ্ছেন না। একথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।