এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মুখ্যমন্ত্রীর সমর্থনে টুইট করলেই পুরস্কার দেবে বিজেপি? শোরগোল রাজ্যে!

মুখ্যমন্ত্রীর সমর্থনে টুইট করলেই পুরস্কার দেবে বিজেপি? শোরগোল রাজ্যে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  এবার বড়সড় বিতর্কে জড়িয়ে পড়ল ভারতীয় জনতা পার্টি। কিছুদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন সমাপ্ত হয়েছে। যেখানে বিজেপির হয়ে ব্যাপক প্রচার করেছিল তাদের দলের আইটি সেল। কিন্তু তা সত্ত্বেও গেরুয়া শিবির পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখল করতে সক্ষম হয়নি। তবে সামনেই রয়েছে উত্তরপ্রদেশের মত রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। তাই তার আগে সেই রাজ্যের আইটি সেলকে কাজে লাগিয়ে এখন রীতিমত প্রচারে নেমে পড়েছে গেরুয়া শিবির। তবে সেই আইটি সেল এবার চরম সমস্যার মুখে ফেলে দিল ভারতীয় জনতা পার্টিকে।

জানা গেছে, বিজেপির আইটি সেলের পক্ষ থেকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সমর্থনে প্রচার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর যদি সেই প্রচার কেউ করে, তাহলে তাকে দু টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই টুইট সামনে আসার পরেই রীতিমত বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সমর্থনে একটি টুইট করা হয়। যেখানে আইটি সেলের পক্ষ থেকে দুই ব্যক্তির অডিও ভাইরাল হয়। আর সেই অডিওতে শোনা যায় যে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে যদি কেউ টুইট করে, তাহলে প্রত্যেক ট্যুইটের মধ্য দিয়ে সেই ব্যক্তিকে দুই টাকা করে দেওয়া হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনা সামনে আসার পরেই রীতিমত অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। তড়িঘড়ি আইটি সেলের প্রধানকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। একাংশ বলছেন, ইতিমধ্যেই একাধিক রাজ্যে ক্ষমতা দখল করতে চেয়েও পরাজিত হয়ে গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই উত্তরপ্রদেশের মত রাজ্যে ক্ষমতা দখল করবার জন্য এখন থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর সমর্থনে প্রচার করার লোক সংখ্যা বাড়াতে চাইছে তারা। আর তাই টাকার প্রলোভন দিয়ে এভাবে প্রচার করার কৌশল নেওয়া হচ্ছে।

অনেকে বলছেন, সত্যিই তো তাই! কেন এভাবে আইটি সেলের ওপর নির্ভর করে টাকা দিয়ে লোক রাখা হবে? ইতিমধ্যেই এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর বাড়তি হাতিয়ার পেয়ে গিয়েছে বিরোধীরা। যদিও বা ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে ময়দানে নেমে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র বলেন মনীশ শুক্ল বলেন, “যে ঘটনা ঘটেছে, তার সঙ্গে দলের কোনো যোগাযোগ নেই। এটি বেসরকারি সংস্থার আভ্যন্তরীন ব্যাপার। এক্ষেত্রে তারা যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটা তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।”

তবে বিজেপির পক্ষ থেকে যে কথাই বলা হোক না কেন, গোটা ঘটনায় তারা যে অস্বস্তিতে পড়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলেছেন, সদ্য সমাপ্ত হয়েছে উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত নির্বাচন। যেখানে অনেকটাই ব্যাকফুটে পড়ে গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই সামনের বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করতে তাদের আইটি সেলের এই ধরনের কীর্তি আরও চাপে ফেলে দিল গেরুয়া শিবিরকে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!