এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মুখ্যমন্ত্রীর উপরে কেন এমন কঠোর পদক্ষেপ নিল নির্বাচন কমিশন? জেনে নিন

মুখ্যমন্ত্রীর উপরে কেন এমন কঠোর পদক্ষেপ নিল নির্বাচন কমিশন? জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – জনসভায় প্ররোচনামূলক বক্তব্য রাখা তথা আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করার অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্বাচনী প্রচারে ২৪ ঘন্টা বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল রাত আটটা থেকে শুরু করে আজ রাত আটটা পর্যন্ত কোনরকম নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রী। প্রশ্ন জাগে, কেন এমন কঠোর পদক্ষেপ নিল নির্বাচন কমিশন?

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, জনসভা থেকে ধর্মের ভিত্তিতে ভোট ভাগাভাগি, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করাবার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করার প্ররোচনা, হিংসায় উস্কানি দেওয়া, ভোটারদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ২৪ ঘণ্টার এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই নির্দেশিকা জারির পূর্বে মুখ্যমন্ত্রীকে বারবার সতর্ক করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীকে শোকজও করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী তার জবাবও দিয়েছেন। কিন্তু কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রী জবাব দিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু আসল বিষয়গুলোকে কৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। এ কারণেই তাঁর জবাব নির্বাচন কমিশনের কাছে সন্তোষজনক বলে মনে হয়নি।

কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নির্বাচনী সভায় যে ধরনের মন্তব্য করেছেন তা প্ররোচনামূলক ও উস্কানিমূলক। এর ফলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বড় অংশীদার ভোটাররা বিভ্রান্ত হচ্ছেন। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর উস্কানিমূলক মন্তব্যর ফলে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী কোথাও মুসলমানদের এক হয়ে ভোট ভাগাভাগি রুখে দিতে বলেছেন, কোথাও আবার বলেছেন যে, বিজেপি বাইরের রাজ্য যেমন আসাম, উত্তর প্রদেশ, থেকে গুন্ডা নিয়ে বাংলায় আসছে। আবার কোথাও মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গেছে যে, মা-বোনেরা একদল হয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করে দিন, আর অপর একদল গিয়ে ভোট দিন।

নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে রয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে যেভাবে তিনি প্ররোচনা দিচ্ছেন, উত্তেজনা মূলক কথা বলছেন, তা রাজ্যের আইন শৃংখলার জন্য বিপদ বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন। এ কারণেই তাঁকে এ ধরনের বক্তব্য রাখা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।

 

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!