প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল থেকে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে উঠেছে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দুর্ঘটনার কারণে। একইসাথে নন্দীগ্রাম উঠে এসেছে আলোচনার শীর্ষে। নন্দীগ্রাম ইতিমধ্যে যথেষ্ট আলোড়ন তুলেছে রাজ্যে কারণ একুশের নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রী নন্দীগ্রাম থেকে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছে। গতকাল ছিল তৃণমূল নেত্রীর মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন। এদিন মনোনয়ন জমা করার পর তৃণমূল নেত্রী বেড়িয়েছেলেন জনসংযোগে। আর তারপরেই ঘটে বিপত্তি।

জানা যাচ্ছে, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি ধর্মীয় স্থান থেকে বেরোনোর পরে তাঁর সাথে ধাক্কাধাক্কি হয় কয়েকজন যুবকের এবং এই ধাক্কাধাক্কিতে গাড়ির দরজা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের ওপর উঠে যায় বলে শোনা যায়। সাথে সাথেই তৃণমূল নেত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর সময় নষ্ট করে নন্দীগ্রাম থেকে গ্রিন করিডোর করে তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছে এসএসকেএম-এ। তবে কলকাতা আসার আগে তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছেন, তাঁর ওপর যড়যন্ত্র করে হামলা করা হয়েছে।

তবে ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তের দাবি করেছে বিরোধী দল বিজেপি। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে। অনেকগুলি তত্ত্ব উঠে আসছে এই দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, চলন্ত গাড়িতে কি পা ঝুলিয়ে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী? আবার অনেকেই বলছেন দরজা খোলা অবস্থায় দুষ্কৃতী হামলা চালিয়েছিল। আবার আরেকদল প্রশ্ন তুলেছেন, গাড়ির দরজা কি লোহার পিলারে ধাক্কা লেগেছিল? তাতেই কি আঘাত পান মুখ্যমন্ত্রী? আসল ঘটনা কি তা জানতে শুরু হয়েছে নন্দীগ্রাম তদন্ত।

এদিন সকালে ঘটনাস্থলে রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তারা পৌঁছেছেন। জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রামে তদন্তের জন্য পৌঁছেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ, জেলাশাসক বিভু গোয়েল এবং মেদিনীপুর রেঞ্জের আইজি কুণাল আগারওয়াল। গতকাল থেকেই দুর্ঘটনার সাথে সাথে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। বিশেষজ্ঞদের মতে, গতকাল থেকে যেভাবে তৃণমূল নেত্রীর দুর্ঘটনা ঘিরে চাপানউতোর বেড়েছে রাজ্যে তাতে স্পষ্ট এবারের নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর দুর্ঘটনা অন্যতম নির্বাচনী ইস্যু হয়ে দাঁড়াতে চলেছে। আপাতত নজর থাকবে নন্দীগ্রাম পৌঁছে প্রশাসনিক কর্তারা দুর্ঘটনার পেছনে নতুন কোন সত্য খুঁজে পান!