এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মুখ্যমন্ত্রীর সাধের “মা” কিচেনেও গলদ, বিতর্ক তুঙ্গে!

মুখ্যমন্ত্রীর সাধের “মা” কিচেনেও গলদ, বিতর্ক তুঙ্গে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সরকারের পক্ষ থেকে বেশ ঘটা করেই চালু হয়েছিল “মা” কিচেন। যেখানে নির্বাচনের আগে এই কর্মসূচি চালু করে পাঁচ টাকা দিয়ে ডিম, ভাত, সবজির বন্দোবস্ত করা হয়েছিল সাধারণ মানুষদের জন্য। স্বাভাবিক ভাবেই মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্প সোমবার ঘোষণা করার পরই রীতিমত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন মানুষ এখানে পেটপুরে খাওয়া-দাওয়া করেন। কিন্তু সোমবার গোটা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও, মঙ্গলবার একটু অন্যরকম দৃশ্যের সাক্ষী থাকল চন্দননগর। যেখানে একটা গোটা ডিম দিয়ে খাওয়ানোর কথা বলা হলেও, অর্ধেক ডিম দিয়ে অনেককেই পরিবেশন করা হল। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা বিষয়ে এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

জানা গেছে, চন্দননগরের রবীন্দ্রভবনের জাহ্নবী ক্যান্টিনে মা কিচেনের ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে রান্নার দায়িত্বে ছিল একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী। কিন্তু মঙ্গলবার ভাত, ডাল, সবজি ঠিক মতো হলেও অনেকেরই পাতে অর্ধেক ডিম পড়তে দেখা যায়। কিন্তু যেখানে একটা গোটা ডিম দেওয়ার কথা, সেখানে কেন অর্ধেক ডিম দেওয়া হল! কেন এত সদিচ্ছার অভাব? একাংশের প্রশ্ন, মানুষকে তৃপ্তি করে খেতে দেওয়াতেও বাধা আসছে‌। স্বাভাবিক ভাবেই সরকার ভোটের আগে এইরকম কর্মসূচি করলেও, তাতে যে যথেষ্ট সদিচ্ছার অভাব রয়েছে, সেই ব্যাপারে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে একাংশ।

ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে শাসক দলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে বিরোধীরা। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পাল বলেন, “100 কোটি টাকার বাজেট রেখে এখন অর্ধেক ডিম দিচ্ছে। অথচ প্রচার হচ্ছে 5 টাকায় গরিবদের ডিম ভাত খাওয়াচ্ছে সরকার। বাকি ডিম কোথায় যাচ্ছে? শাসকের পেটে?” সত্যিই তো তাই! যেখানে সরকারের পক্ষ থেকে 5 টাকায় ডিম ভাত খাওয়ানোর কথা বলা হচ্ছে, সেখানে বাস্তব চিত্র ভিন্ন কেন? কেন এত আন্তরিকতার অভাব?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে চন্দননগর পৌরনিগমের প্রশাসক স্বপন পাল বলেন, “মা প্রকল্পে সরকার 10 টাকা দিচ্ছে। কুপন সংগ্রহকারী দিচ্ছেন 5 টাকা। 15 টাকার মধ্যে দুপুরের খাবার দিতে বলা হয়েছে। তাতে ভাত, ডাল, তরকারির সঙ্গে ডিম রাখতেই হবে। সরকারের তরফে প্রতিদিন 500 জনকে খাওয়ানোর লক্ষ্য বেঁধে দেওয়া হলেও, এদিন মোট 50 জন কুপন সংগ্রহ করেছেন। এত কম সংখ্যক লোককে গোটা ডিম দিলে সংকুলান হবে কি করে? যারা ক্যান্টিন চালাচ্ছেন, তাদেরও তো খরচে পোষাতে হবে।” আর এখানেই প্রশ্ন, যদি সরকার এই সমস্ত মানুষদের খাবার দিতে নাই পারবে, তাহলে কেন এই রকম প্রকল্প ঘোষণা করা হল?

তাহলে কি বিরোধীদের অভিযোগ সত্যি যে, শুধুমাত্র ভোটের আগে মানুষের মন পাওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে? আসলে এর মধ্যে তলায় তলায় যে যথেষ্ট আন্তরিকতার অভাব রয়েছে, তা ঘোষণার পরেও অর্ধেক ডিম পরিবেশনেই কার্যত পরিষ্কার বলে দাবি করছেন সমালোচকরা। স্বাভাবিক ভাবেই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেও, যেভাবে সরকারের পক্ষ থেকে আন্তরিকতার অভাব চোখে পড়ছে, তাতে নিঃসন্দেহে বিতর্ক ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!