এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ট্যুইটের পর রাজ্যপালের বিরুদ্ধে একযোগে সরব ঘাসফুল শিবির

মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ট্যুইটের পর রাজ্যপালের বিরুদ্ধে একযোগে সরব ঘাসফুল শিবির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ঘূর্ণিঝড় যশের পর প্রধানমন্ত্রীর রিভিউ বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত না থাকায় তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এরপর এ বিষয়ে এক টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। রাজ্যপাল জানান, মুখ্যমন্ত্রী আগে থেকেই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক বয়কটের পরিকল্পনা করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, গত ২৭ সে মে রাত এগারোটা বেজে ষোলো মিনিটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে একটি মেসেজ করেছিলেন।

যেখানে তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তিনি কি রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলতে পারেন? খুব জরুরী! এরপর ফোনে মুখ্যমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, যদি বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারি থাকেন, তবে তিনি ও তাঁর সরকারের প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক বয়কট করবেন। রাজ্যপাল কটাক্ষ করেছেন, অহংবোধের কাছে নাগরিক পরিষেবা পরাজিত হয়েছে। ২৮ সে মে দেশের যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে একটি কালো দিন হিসেবে থেকে যাবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজ্যপালের এই ট্যুইটের পর তাঁর বিরুদ্ধে একযোগে সরব হলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানালেন যে, রাজ্যপাল যে মন্তব্য করেছেন, তা দায়িত্বজ্ঞানহীন। মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক বয়কট করেন নি। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে রাজ্যের দাবি তুলে ধরেছেন। শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে তাঁর আপত্তি থাকতে পারে। শুভেন্দু অধিকারী কোন সরকারি আধিকারিক নন। এই বৈঠকে তিনি কেন থাকবেন?

এটা নিয়ে তাঁরা রাজনীতি করতে পারেন। কিন্তু সদ্য জয়লাভ করে আসা মুখ্যমন্ত্রী কেন এটা সহ্য করবেন? রাজ্যপালের টুইট করা নিয়ে সংবিধানে কোন স্থান নেই। রাজ্যপাল টুইট করা বন্ধ করলেই মঙ্গল হবে।অন্যদিকে, তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, রাজ্যপাল কবে থেকে মানুষের মন পড়তে শিখেছেন? তা তিনি জানেন না। রাজ্যপাল একজন সাইকোলজিস্ট হয়ে গেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে দিয়েছেন। সে কারণে ২৮ সে মে হলো সমস্ত দিক থেকে কালো দিন।

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা কবে রাজ্য সরকারের অংশ হলেন? যে, প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি অংশগ্রহণ করবেন? তিনি কটাক্ষ করেছেন, ভারতে এত বড় অপদার্থ প্রধানমন্ত্রী আর কখনো দেখেননি তিনি। তাই প্রতিদিনই কালোদিন। তিনি কটাক্ষ করেছেন, রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকরের কোন নিজস্বতা নেই। তিনি তল্পিবাহক হয়ে কাজ করছেন। জীবনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে নিজের শিরদাঁড়া সোজা করার নির্দেশ দিলেন তিনি রাজ্যপালকে। এভাবে টুইটকে কেন্দ্র করে রাজ্য- রাজ্যপাল সংঘাত তীব্র হয়ে উঠেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!