2019 এর লোকসভা ভোটে বিজেপি উল্লেখযোগ্যভাবে ভালো ফল করার পর 2021 এর বিধানসভা ভোটের লক্ষ্যে বিজেপি রীতিমতন পরিকল্পনামাফিক এগিয়ে চলেছে। তবে এই এগোনোর পথে নানান তর্ক-বিতর্ক, বাকবিতণ্ডা এসেছে সামনে। তবে সেক্ষেত্রে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের নাম বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সবার আগে আসবে।

এদিন আবারও পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের সভা থেকে দিলীপ ঘোষ বিতর্কিত মন্তব্য করলেন। শুধু বিতর্কিত মন্তব্য নয়, তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে সম্মোধন করে রীতিমত পরামর্শ দিলেন, সাবধান করলেন, হুঁশিয়ারী দিলেন।

রাজ্য বিজেপি সভাপতি মাওবাদী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে সাবধান করে বলেন, যে মাওবাদী আজকে মুখ্যমন্ত্রীর আদেশে ছাড়া পাচ্ছে, তারাই ভবিষ্যতে বোমা গুলি নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করবে। তাই মুখ‍্যমন্ত্রী ভেবে দেখুক।

দিলীপ ঘোষ এ প্রসঙ্গে অভিযোগ জানান যে, তৃণমূল এযাবৎকাল নির্বাচনের প্রতি পদক্ষেপে মাওবাদী সাহায্য নিয়েছে। এবং নির্বাচন-উতরে যেতেই মাওবাদীদের সাথে সম্পর্ক ছেদ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

2019 এর লোকসভা ভোটের পর বিজেপি কে ভয় পেয়ে এবার মাওবাদীদের প্রয়োজনীয়তা আবারও অনুভব করছেন মুখ্যমন্ত্রী বলে জানান রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রসঙ্গক্রমে তিনি উল্লেখ করেন, জঙ্গলমহলে বিজেপির বিপুল ভোটে জিতে যাওয়ার কথা।

অন্যদিকে সিবিআইয়ের হাত এড়িয়ে রাজীব কুমারের এখনো পর্যন্ত বেপাত্তা থাকার ব্যাপারে দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, রাজীব ঘোষকে মুখ্যমন্ত্রী তার বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছেন। আর সে খবর মুকুল রায় এনে দিয়েছেন। কিন্তু এভাবে লুকিয়ে সিবিআই এর হাত থেকে বাঁচা যাবে না বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।

তবে এদিন সভায় রাজ্য বিজেপি সভাপতি সবথেকে বিতর্কিত মন্তব্যটি করেন। তিনি বলেন, যেসব তৃণমূল নেতা সরকারে থাকাকালীন বিরোধীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে, পরবর্তী জমানায় তাদের এই বিরুদ্ধ পদক্ষেপ এর মাশুল দিতে হবে। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তিনি গর্জে ওঠেন এইভাবে।

তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভোটের বাজারে এইরকম ভোকাল টনিক না দিলে সংগঠনকে তাতিয়ে রাখা যাবে না। তবে, এদিন রাজ্য বিজেপি সভাপতির এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল সরকারের তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি এখনো পর্যন্ত।