এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মুখমন্ত্রীর ছবিতে কালো কালি লেপে দেওয়ার ঘটনা, তৃণমূল-বিজেপির চাপানউতোর !

মুখমন্ত্রীর ছবিতে কালো কালি লেপে দেওয়ার ঘটনা, তৃণমূল-বিজেপির চাপানউতোর !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের যত এগিয়ে আসছে আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন, ততই রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা বারবার বিপর্যস্ত হচ্ছে। শাসক দল ও বিভিন্ন বিরোধী দলগুলোর মধ্যে ক্রমশ বাড়ছে হানাহানি। রাজ্য জুড়ে বাড়ছে অশান্তি ও সংঘর্ষের পরিবেশ। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিতে কালো কালি লেপে দেওয়ার ঘটনায় উত্তপ্ত হলো হুগলি জেলার গোঘাট।

স্থানীয় সংবাদ সূত্রের খবর, হুগলি জেলার গোঘাট এলাকায় একটি যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে মুখ্যমন্ত্রীর একটি ছবি ঝোলানো ছিল। গত শুক্রবার রাতে সেই ছবিতে কেউ কালো কালি মাখিয়ে দিয়েছে। এর সঙ্গে সঙ্গেই গোঘাট এলাকায় একটি পুজো কমিটিতে দূর্গা প্রতিমা তৈরীর কাজ চলছিল। গত শুক্রবার রাতে সে প্রতিমা ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার সকালে ভাঙচুর করা প্রতিমা ও সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ছবিতে কালি দেওয়ার ঘটনা সামনে আসতেই তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ঘটনাস্থলে। এ বিষয়ে খবর পেয়ে গোঘাটের তৃণমূল বিধায়ক মানস মজুমদার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। এই ঘটনার জন্য তিনি বিরোধী দল বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।

তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতি মিলেই মুখ্যমন্ত্রীর ছবিতে কালি লেপন করেছে ও সেই সঙ্গে মূর্তির উপর হামলা চালিয়েছে। তৃণমূলের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় হুগলি জেলার গোঘাটে বেশ কিছু উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। যা দেখে ভয় পেয়েছে বিজেপি। বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে গেছে ও জনসংযোগ হারিয়ে ফেলায় আক্রোশ বসত, এমন সমস্ত কাজ করেছে বিজেপি। তৃণমূলের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী এবারে দুর্গাপুজোয় পুজো উদ্যোগটা কমিটিগুলিকে যে অর্থসাহায্য দানের পরিকল্পনা করেছেন, তা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না বিজেপি। তাই মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ও দূর্গা প্রতিমার ওপর একযোগে হামলা চালিয়েছে তারা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে, স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ জানিয়েছেন যে, হুগলি জেলায় কিছুদিন আগেই তৃণমূলের কর্মী সম্মেলনে দলীয় কর্মীরা বিধায়কের উপরে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা। তাঁর অভিযোগ বিজেপিকে মিথ্যা বদনাম করছে তৃণমূল।

গতকাল শুক্রবার রাতের এই ঘটনাটি তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফলাফল? নাকি মুখ্যমন্ত্রী তথা শাসক দলের উপর বিজেপির আক্রোশের ফলাফল? তা এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে শাসক দল ও বিরোধীদলের আক্রোশ যে তীব্র পর্যায়ে চলে গেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সম্প্রতি বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লার হত্যাকাণ্ড ও বেলেঘাটার ক্লাবে বোমা বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে একাধিক মানুষ।

আবার হুগলি থেকে শাসকদলের দলীয় কোন্দল একাধিকবার ঘটেছে। ডানকুনিতে তৃণমূল বিধায়ক স্বাতী খোন্দকারের ডাকা সম্মেলনে উপস্থিত হন নি, ডানকুনি শহর যুব তৃণমূল সভাপতি ও সেইসঙ্গে ডানকুনি পুরসভার বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যান দেবাশিস মুখোপাধ্যায়। আবার, উত্তরপাড়ায় তৃণমূলের এক কর্মী সম্মেলনে হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্না তৃণমূল দলের বেশ কিছু করে খাওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে ছিলেন। তিনি এই করে খাওয়া নেতাদের ধাক্কা দিয়ে দল থেকে বের করে দেয়ার কথা বলেছিলেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!