এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরে বাংলায় মসজিদ খোলা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত ইমাম সংগঠনের! সাবাশি জনসাধারণের

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরে বাংলায় মসজিদ খোলা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত ইমাম সংগঠনের! সাবাশি জনসাধারণের


করোনা আবহের পটভূমিকায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পরিস্থিতি বর্তমানে যথেষ্ট আশঙ্কাজনক বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। ইতিমধ্যে চার দফা লকডাউন রাজ্য সহ সমগ্র দেশ কাটিয়ে ফেলেছে। কিন্তু তা সত্বেও করোনা সংক্রমণের বিশেষ কোনো হেরফের দেখা যায়নি। অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকার গত শনিবার আনলক-১ এর ঘোষণা করলেন। এর সাথেই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রাজ্যের সমস্ত ধর্মস্থানগুলি খুলে দেওয়ার কথা বললেন। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।

তবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই বেঙ্গল ইমামস্‌ অ্যাসোসিয়েশন জানিয়ে দিয়েছে, আপাতত মসজিদের ভেতর কোনো প্রার্থনা হবেনা। প্রত্যেকেই যেন বাড়িতে বসে তাঁদের প্রার্থনা করেন। গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে যে নিয়ম চলে আসছে, আগামী দিনেও যাতে সেই পদ্ধতিই চলে করোনা সংক্রমণ আটকাতে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন বেঙ্গল ইমাম এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান। ধর্মস্থান বর্তমানে বন্ধ থাকলে তাতে কারো কোন ক্ষতি হবে না বলে জানিয়ে দিলেন তিনি।

তবে রাজ্য সরকারের কাছে সুস্পষ্ট নির্দেশ না পেলে মসজিদ যে খোলা হবে না তাও জানিয়ে দিয়েছেন বেঙ্গল ইমামস্‌ অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান। গত 29 মে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, পয়লা জুন থেকে রাজ্যের সমস্ত ধর্মীয় স্থান খুলে দেওয়া হবে। কিন্তু সেখানে 10 জনের বেশি কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। আগে অবশ্য ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে মসজিদে নামাজ পড়ার বিষয়টি বন্ধ করা যাবে না বলে জানানো হয়েছিল। যার জেরে ব্যাপক মাত্রায় সমালোচনা হয়েছিল তাঁদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিভিন্ন মহল থেকে বলা হয়েছিল, যেখানে সৌদি আরব পর্যন্ত মসজিদ বন্ধ রেখেছে সেখানে বাংলার ইমামরা কি করে মসজিদ খোলার মতন সিদ্ধান্ত নিলেন করোনা আবহের মধ্যে! এটি মার্চ মাসের ঘটনা। সে সময় দেখা গিয়েছিল বিভিন্ন জায়গায় জুম্মার নামাজে প্রচুর মুসলিম ব্যক্তিরা প্রার্থনার উদ্দেশ্যে জড়ো হন এবং তখন থেকেই করোনা সংক্রমনের সম্ভাবনাও কয়েকগুণ বেড়ে যায় বলে দাবী অনেকের।

অন্যদিকে বর্তমানে ইমাম সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মসজিদের ভেতরে ইমামরা নামাজের আয়োজন করবেন তাতে সাধারণ মুসলিমদের অংশগ্রহণ করার কোন প্রয়োজন নেই। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর দিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্মস্থান খোলার যে নির্দেশ দিয়েছেন তা আক্ষরিক অর্থেই করোনা সংক্রমণ বহুগুণে যে বাড়িয়ে দিতে পারে। বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশ নিয়ে বিরোধী দলগুলোও মুখ খুলতে শুরু করেছে প্রবলভাবে।

অন্যদিকে প্রতিদিন যেভাবে করোনা সংক্রমণ উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে তাতে সাধারণ মানুষের আতঙ্কও পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সতর্কতা এবং সাবধানতা অবলম্বন করতে গেলে বাড়ি থেকে বেরোনোর কোন প্রয়োজন পড়েনা। উপরন্তু ধর্মীয় স্থানে যাওয়ার তো কোনো প্রশ্নই নেই। আপাতত এই পরিস্থিতিতে মসজিদের ইমামদের বর্তমান নির্দেশ প্রশংসার দাবি রাখে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই খবর সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধুবাদ জানাতে ভুলছেন না কেউই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!