এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারে ২৪ ঘন্টার নিষেধাজ্ঞা, কি বক্তব্য শাসক শিবিরের?

মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারে ২৪ ঘন্টার নিষেধাজ্ঞা, কি বক্তব্য শাসক শিবিরের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল নির্বাচন কমিশন এক নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারে ২৪ ঘন্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারে আপত্তিকর বক্তব্য রেখে আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রাত আটটা থেকে শুরু করে আজ রাত আটটা পর্যন্ত কোনরকম নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রী। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল।

নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশ জারির পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইট করে জানিয়েছেন যে, নির্বাচন কমিশনের অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে আজ দুপুর ১২ টা থেকে তিনি গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসছেন। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, এই দিনটি গণতন্ত্রের একটি কালো দিন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা তাপস রায় নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবেন। দিলিপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, সায়ন্তন বসুদের বক্তব্যে নির্বাচন কমিশন উস্কানি খুঁজে পায় না। এ থেকেই বোঝা যায় যে, কমিশন পক্ষপাত দুষ্ট হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ জানালেন যে, বিজেপি নেতারা লাগাতার প্ররোচনা দিচ্ছেন। প্রতিবাদ করার কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে।

পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম টুইট করে জানালেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ তাঁদের গণতন্ত্রের কালো দিন। কমিশন নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারবে, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মানুষের মন থেকে মুছে দিতে পারবে না। অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা যশবন্ত সিনহা টুইট করে জানালেন, কমিশনের নিরপেক্ষতার উপর সব সময় সন্দেহ ছিল। কিন্তু যেটুকু ভান ছিল, সেটা এবার প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এবার পরিষ্কার যে, কমিশন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহর নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করছে। গণতন্ত্রের সঙ্গে আপোস করা হলো। আর কি আশা আছে তাঁদের এখন?

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!