এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দলের নেতাদের ডানা ছেঁটে মুকুল ঘনিষ্ঠদের উপর ক্রমশ আস্থা রাখছে তৃণমূল নেতৃত্ব, জোর শোরগোল দলের অন্দরেই

দলের নেতাদের ডানা ছেঁটে মুকুল ঘনিষ্ঠদের উপর ক্রমশ আস্থা রাখছে তৃণমূল নেতৃত্ব, জোর শোরগোল দলের অন্দরেই


লোকসভা ভোটের অনেক আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বর্তমানে বঙ্গ বিজেপির হেভিওয়েট নেতা মুকুল রায়। আর তারপরই তার হাত ধরেই এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলায় 18 টি আসন পেয়েছে বলে দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। অন্যদিকে প্রাক্তন সৈনিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে বলেও মনে করছেন অনেকে।

কিন্তু যে মুকুল রায়কে বেইমানি করার অভিযোগে “গদ্দার” বলে অভিহিত করছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব, সেই বিজেপি নেতা মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদেরই এবার দলের সংগঠনের শীর্ষপদে বসাতে শুরু করেছে তৃণমূল। কথাটা শুনতে আশ্চর্য লাগলেও এটাই বাস্তব।

বস্তুত, লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে এবার তৃণমূলের ভরাডুবি হয়েছে। বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ পরাজিত হওয়ার পরই এখানকার দায়িত্ব থেকে বিপ্লব মিত্রকে সরিয়ে সেই জেলা তৃণমূল সভাপতি পদে বসানো হয় অর্পিতা ঘোষকে। যার জেরে অনেকেই মনে করেছিলেন এবার হয়ত দল সঠিক পথে এগোবে। তবে এ যেন “মরার উপর খাড়ার ঘা” নিয়ে এলেন সেই অর্পিতাদেবী বলে এখন সমালোচনা করতে শুরু করেছে একাংশ।

জানা গেছে, জেলা সভানেত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই বিপ্লব মিত্র ঘনিষ্ঠ অনুগামীদের পদ থেকে সরিয়ে দিতে থাকেন অর্পিতা ঘোষ। কিন্তু এরই মাঝে এবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার নতুন যুব কমিটির ঘোষণায় বালুরঘাট টাউন তৃণমূল যুব কমিটির সভাপতি হিসেবে বসানো হয় বিজেপি সদস্য মহেশ পারেখকে। যা নিয়ে হতবাক গোটা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার রাজনৈতিক মহল। জানা গেছে, এই মহেশ পারেখের বাবা টিল্লু পারেখ বিজেপির সক্রিয় কর্মী।শুধু তাই নয়, তিনি বর্তমান বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত। পাশাপাশি আইন নিয়ে পড়াশোনা করা মহেশ পারেখ বিজেপি নেতা বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরীর ভাই সুদীপ রায় চৌধুরীর জুনিয়র বলেও খবর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গত 2014 সালে বিজেপির সদস্য পদ সংগ্রহের সময় নিজের নাম্বার থেকে মিসড কল দিয়ে গেরুয়া শিবিরের সদস্য হয়েছিলেন বালুরঘাট শহর যুব তৃনমূলের এই নব্য সভাপতি মহেশ পারেখ। ফলে সেই মহেশবাবুকে কেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের নতুন সভাপতি অর্পিতা ঘোষ জেলা যুব কমিটিতে স্থান দেওয়ার পাশাপাশি বালুরঘাট যুব তৃনমূলের সভাপতি করলেন তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

অনেকে বলছেন, অর্পিতাদেবীর আশেপাশে যে সমস্ত ব্যক্তিরা ঘোরাফেরা করেন, তাদেরই অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই মহেশ পারেখ। তাই নিজের অনুগামীদের যুব কমিটিতে স্থান দিতে চেয়েছিলেন অর্পিতা ঘোষ। কিন্তু তার বদলে তিনি যে বিজেপি কর্মীকেই যুব সভাপতি করে দেবেন, তা ভাবতে পারেনি কেউই।

তৃণমূলের একাংশের দাবি, যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের গদ্দারদের চিহ্নিত করছেন, সেখানে সেই গদ্দার মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ব্যাক্তিকেই বড় পদে বসাচ্ছে তৃনমূল। যা দলকে আরও বিপাকের দিকেই নিয়ে যাচ্ছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। তবে অন্যপক্ষের অবশ্য দাবি, মহেশ পারেখ তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। তাই তার সাথে বিজেপি যোগের সম্পর্ক একদম ভিত্তিহীন।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, যে যাই বলুন না কেন, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি অর্পিতা ঘোষকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সাজানোর দায়িত্ব দিলেও তিনি যে এবার নিজের দলের বিপক্ষ গোষ্ঠিকে হঠাতে গিয়ে বিজেপি কর্মীকে সভাপতির পদ দেবেন তা কেউ মেনে নিতে পারছেন না। ফলে অর্পিতা ঘোষের ওপর যেভাবে জেলাবাসী ক্ষিপ্ত রয়েছেন তাতে তৃণমূলে বিজেপি নেতার পদ দেওয়ায় সেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অর্পিতা দেবীর হাত ধরেই যে ফের এই জেলায় তৃণমূল ভাঙতে চলেছে সেই ব্যাপারে তীব্র আশঙ্কায় প্রহর গুনছেন ঘাসফুল শিবিরের পুরনো কর্মীরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!