এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > মুকুল-দিলীপদের বুথমুখী হওয়ার নির্দেশ, দলের ব্যাটন কার হাতে থাকছে ধন্দে বিজেপি নেতা কর্মীরা!

মুকুল-দিলীপদের বুথমুখী হওয়ার নির্দেশ, দলের ব্যাটন কার হাতে থাকছে ধন্দে বিজেপি নেতা কর্মীরা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই সাজো সাজো রব বঙ্গ বিজেপির অন্দরমহলে। তবে প্রথম থেকেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল যে, বাংলায় বিজেপির মুখ কে হবেন! আশা করা হয়েছিল, অমিত শাহ রাজ্যে এসে সেই ব্যাপারে কোনো নির্দেশ দেবেন। কিন্তু সেভাবে বিজেপির কোনো মুখের ব্যাপারে মন্তব্য করলেন না তিনি। উল্টে মুকুল রায় থেকে দিলীপ ঘোষ, প্রত্যেককেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বুথের সংগঠন সামলানোর নির্দেশ দিলেন তিনি।

স্বভাবতই অমিত শাহ নির্দিষ্ট কোনো মুখের কথা না বলে সংগঠনকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জানা গেছে, এদিন অমিত শাহ মুকুল রায় এবং দিলীপ ঘোষের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন, বুথের সংগঠন যদি শক্তিশালী না হয়, তাহলে জয়লাভ করা সমস্যা। তাই বুথের সংগঠন শক্তিশালী করতে হবে। প্রসঙ্গত, এখনও অনেক বুথে বিজেপির কমিটি গঠন হয়নি। তাই নেতা ঠিক করার আগে সংগঠন চাঙ্গা করার দিকেই বেশি নজর দেওয়ার চেষ্টা করল গেরুয়া শিবির বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

তবে শুধু মুকুল রায় এবং দিলীপ ঘোষকে নির্দেশ দেওয়াই নয়, দলের সমস্ত সাংসদেরও জনসংযোগের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যেখানে তিনি সাংসদদের আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে সমস্ত ব্লক এবং ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত পঞ্চায়েতে জনসংযোগ করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপির এখন প্রধান লক্ষ্য বাংলায় পরিবর্তন আনা। তাই এই সময় যদি নির্দিষ্ট কাউকে মুখ হিসেবে ঘোষণা করে দেওয়া হয়, তাহলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই সংগঠনকে চাঙ্গা করার কথা বলে মুখ ঘোষণা না করে অমিত শাহ এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মুখ, সেখানে বিজেপির পক্ষ থেকে অমিত শাহ সামঞ্জস্য বজায় রাখতে কোনো মুখের ঘোষণা না করায় বিজেপির অনেক নেতাকর্মীরাই বিভ্রান্ত হতে শুরু করেছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। একাংশ বলছেন, যদি কাউকে বিজেপি মুখ করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়, তাহলে আসন্ন নির্বাচনে লড়াই করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে। কেননা দলের নেতাকর্মীরা অনেকেই বিভ্রান্ত হতে শুরু করেছে এবং বিজেপি কর্মীরা তাদের নেতা কে, তা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একদিকে যেমন মুকুল রায়কে কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি করা হয়েছে, ঠিক তেমনই রাজ্যের দায়িত্বে রয়েছেন দিলীপ ঘোষ‌। তাই এই দুই নেতার অনুগামীরা কিছুটা হলেও ধন্দে রয়েছেন। যার ফলে দিনকে দিন সমস্যা বাড়ছে বলেই দাবি করছেন একাংশ। তাই এই পরিস্থিতিতে অমিত শাহ সামঞ্জস্য বজায় রেখে মুখের ঘোষণা না করলেও, ভবিষ্যতে এই বিষয় নিয়ে বিড়ম্বনা বাড়তে পারে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

যদিও বা এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “অমিত শাহ আমাদের এক হওয়ার বার্তা দিয়ে গিয়েছেন। আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব। 63 হাজার বুথে আমরা অমিত শাহের ভার্চুয়াল সভা শুনিয়েছি। রাজ্যের অনেক বুথে বিশেষ করে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় আমাদের সংগঠন দুর্বল। আমরা তা মেরামত করার কাজ শুরু করে দিয়েছি। এবার পরিবর্তন হবেই। ঠিক হয়েছে যুব মোর্চা 11 জন যুব সদস্য সংগ্রহ করবে। তারা নতুন ভোটার হওয়া তরুণ-তরুণীদের মধ্যে সংগঠন গড়ে তুলবে। 12 জানুয়ারি বিবেকানন্দের জন্মদিন থেকে যুব মোর্চা টানা কর্মসূচি নিয়েছে। নরেন্দ্র মোদিকে রাজ্যে আসবার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।”

এদিকে তৃণমূল থেকে যারা বিজেপিতে যোগ দিয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছেন তাদের সবাইকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনের কাজে লাগানো হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অর্থাৎ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্যে অমিত শাহের নির্দেশমতো এখন থেকেই দ্বন্দ্বকে দূরে রেখে ঐক্যবদ্ধ ভাবে চলতে উদ্যোগী হচ্ছে মুকুল রায় এবং দিলীপ ঘোষের মতো নেতৃত্বরা।

কেননা তাদের ওপর রাজ্যের দায়িত্ব রয়েছে। সেক্ষেত্রে বিজেপি যদি ভালো ফল করতে না পারে, তাহলে এই দুই নেতার ওপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে। তাই ঐক্যবদ্ধ রুপ সামনে আনতে এখন জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টির বঙ্গ নেতৃত্ব। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, নেতা ঠিক না করে ঐক্যবদ্ধ লড়াই করার চেষ্টা করলেও, তা কতটা সাফল্য পায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!