মুকুল-দিলীপ দ্বন্দ্ব মিটতেই কি বিজেপিতে জোয়ার? একসাথে রাজ্যের সাত জায়গায় তৃণমূলে বড়সড় ভাঙ্গন বিজেপি রাজনীতি রাজ্য August 19, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের পদধ্বনি ইতিমধ্যেই শোনা যাচ্ছে। আর আগামী বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে নিজেদের দলীয় সংগঠনকে মজবুত করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অন্য দল থেকে কর্মী ভাংগিয়ে নিজ দলের অন্তর্ভুক্ত করার খেলাতে মত্ত। এই অবস্থার মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে সংবাদমাধ্যম উঠেছিল বিজেপির বহু কর্মী, সদস্য যোগদান করেছিলেন তৃণমূলে। আর তৃণমূলে যোগদানের পরেই তাঁরা একের পর এক বিষেদাগার করছিলেন বিজেপির বিরুদ্ধে। কিন্তু এবার এই অবস্থায় সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র দেখা গেল । আজ পশ্চিমবঙ্গের অন্তত সাতটি জেলাতে শাসক দল তৃণমূল সহ অন্যান্য বেশকিছু রাজনৈতিক দলের বহু কর্মী, সদস্য যোগ দিলেন বিজেপিতে। প্রসঙ্গত, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বাসভবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক আয়োজন করা হয়েছিল অনেকে মনে করেন এই বৈঠকেই বেশ কিছুদিন ধরে চলা দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায়ের পারস্পরিক দ্বন্দ্বের অবসান ঘটেছে। তাঁদের ঐক্যবদ্ধ হবার অঙ্গীকার জানানোর একদিনের মধ্যেই তার প্রমাণ পাওয়া গেল। আজ উত্তর ২৪ পরগনা বনগাঁ থেকে প্রায় ৭০০ জন কর্মী তৃণমূলও সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন পঞ্চায়েত সদস্য। এই ছবি দেখা গেল পশ্চিম বর্ধমান জেলাতেও। আসানসোলএর অন্তর্গত জামুরিয়া বিধানসভা কেন্দ্রে ৩০০ জনের বেশি তৃণমূল ও সিপিএম কর্মী যোগদান করলেন বিজেপিতে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বাঁকুড়া জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে দেখা দিল ভাঙ্গন। বাঁকুড়া জেলার হীরাবাঁধ ব্লকে প্রায় ২০০ টি পরিবার তৃণমূল ও সিপিএম ত্যাগ করে যোগদান করলেন বিজেপিতে। হুগলি জেলার আরামবাগ অঞ্চলে বিরাটসংখ্যক তৃনমূল সদস্য এদিন তৃণমূল করে বিজেপিতে যোগদান করলেন। দক্ষিণবঙ্গের মত উত্তরবঙ্গ একই ঘটনার সাক্ষী হলো। উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন ১৫০ জন যুব তৃণমূল কর্মী। শিলিগুড়ি বিজেপি কার্যালয়ে তাদের হাতে দলের পতাকা তুলে দিলেন দার্জিলিং জেলা বিজেপির সভাপতি প্রবীণ আগারওয়াল। সেই সঙ্গে তাদের স্বাগত জানানো হলো বিজেপির তরফ থেকে। কোচবিহার জেলার বিভিন্ন ব্লকে থেকে ৮১ টি পরিবার তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন। কোচবিহার উত্তর, দক্ষিণ, নাটাবাড়ি, মাথাভাঙ্গা বিধানসভা কেন্দ্র চলো এই ব্যাপক দলবদল। আবার কোচবিহারেরই ১২০০ জন তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএম কর্মী যোগদান করলেন বিজেপিতে। নেতৃত্বে দিলেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। নবাগত বিজেপি কর্মীদের হাতে বিজেপির পতাকা তিনিই তুলে দিলেন। একদিনে রাজ্যর ৭ টি জেলা থেকে এত সংখ্যক কর্মী বিজেপিতে যোগদান করায় স্বভাবতই প্রচন্ড উল্লসিত বিজেপি শিবির। অন্যন্য দলের কর্মী-সদস্যদের বিজেপিতে যোগদানের এই ঝড় প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু জানালেন, ” এবার পরিবর্তন কেউ আটকাতে পারবে না, বাংলার মানুষই বদল চাইছেন। তার প্রমাণ দলে দলে যোগদান।” আপনার মতামত জানান -