এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলের সাংসদ ভাঙ্গানো থেকে পুলিশকে সিবিআই নজরে রাখা – মুকুল-কৈলাশের ফোনালাপ ফাঁস!!

তৃণমূলের সাংসদ ভাঙ্গানো থেকে পুলিশকে সিবিআই নজরে রাখা – মুকুল-কৈলাশের ফোনালাপ ফাঁস!!


মিনিট সাতেকের এক অডিও টেপ ফাঁস হওয়ার পরেই প্রচণ্ড রকমের ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায় – আর যা ঘিরে রীতিমত তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। যদিও ওই অডিও টেপের সত্যতা যাচাই করে দেখা সম্ভব হয় নি প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার তরফে – তবুও সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই অডিও ক্লিপ ঘিরে জল্পনা উঠেছে তীব্র রকমের। বিভিন্ন পোস্টে দাবি করা হয়েছে – সাত মিনিটের ওই ফোনালাপের অডিও ক্লিপে একটি কন্ঠস্বর বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র এবং অপরজন হলেন তৃণমূল ত্যাগী বিজেপি নেতা মুকুল রায়।

ওই ফোনালাপের প্রথমেই বোঝা যায় ফোনটি এসেছে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র কাছ থেকে, ‘দাদা’ সম্বোধনে তিনি মুকুলবাবুকে ফোন করেন। এরপরে কথাবার্তা শুনে বোঝা যায় তা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর সম্পর্কে। মুকুলবাবু জানান ‘তাঁকে ধরার চেষ্টা চলছে’! যদিও মমতাদেবী বা ঠাকুরবাড়ি সম্পর্কে সম্যক ধারণা নেই কৈলাশজির তা কথোপকথনেই স্পষ্ট। মুকুলবাবু ভাঙা ভাঙা হিন্দিতে ঠাকুরবাড়ির মানচিত্র বোঝাতে থাকেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষককে।

কপিলকৃষ্ণ থেকে মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর, মমতাবালাদেবী থেকে মঞ্জুলকৃষ্ণের স্ত্রী, এমনকি মঞ্জুলকৃষ্ণের দুই পুত্র সুব্রত ও শান্তনু ঠাকুর নিয়ে বিশদে আলোচনা হয় দুজনের। সুব্রত ঠাকুর এর আগেই বিজেপি প্রার্থী হলেও গরু পাচারের সাথে যুক্ত থেকে অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করা শান্তনু ঠাকুরের মধ্যে ‘স্পার্ক’ আছে – আলোচনায় উঠে আসে বিশদে। এমনকি শান্তনু ঠাকুরকে দলে নিলে দলের লাভ হবে থেকে তাঁর জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করা – সবই বিশদে আলোচিত হয় দুই নেতার মধ্যে। এমনকি মতুয়া সমাজের মধ্যে শঙ্কর ঠাকুরের প্রভাব নিয়েও আলচনা হয়।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এরপরেই অডিও ক্লিপে শোনা যায় মুকুলবাবু কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে অনুরোধ করেন অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলে চারজন পুলিশ অফিসারের উপর সিবিআইয়ের বিশেষ নজরদারির। মুকুলবাবুর কথা অনুযায়ী, নজরদারি হলেই আইপিএস অফিসারেরা ভয় পেয়ে যাবেন। এমনকি, আয়করের ডিরেক্টর অব ইনভেস্টিগেশন ও অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর পদে দুজন ‘বিশেষ’ অফিসারের নিয়োগ নিয়েও আলোচনা হয়। এমনকি এই দুই পদে কাদের বসানো যেতে পারে তা নিয়ে মুকুলবাবুকে এসএমএস করতেও বলা হয়।

স্বাভাবিকভাবেই এতসব ‘মশলায়’ ভরা অডিও টেপ নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। এই ফোনালাপ সামনে আসতেই তৃণমূল কংগ্রেস ‘বিশ্বাসঘাতক’ তকমা লাগিয়ে মুকুলবাবুকে নিশানা করে ফেলেছে। অন্যদিকে, বিজেপির বক্তব্য – যদি এই টেপ সত্যি হয় তারমানে বুঝতে হবে মুকুলবাবুর ফোনে আড়িপাতা চলছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে আবার আদালতে যাওয়া হবে। দলের দুই নেতার মধ্যে রাজনৈতিক কথোপকথন হতেই পারে, অন্যদিকে রাজ্যের বেশ কিছু পুলিশ অফিসারের উপর ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের নজরদারি আছে – যদি সেই প্রসঙ্গে কথা হয়ে থাকে তাতে অন্যায় কোথায়? উল্টে, এইভাবে ফোনে আড়ি পেতে ব্যক্তি-স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে রাজ্য-সরকার আমাদের পূর্বতন অভিযোগকেই মান্যতা দিল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!