এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুকুল কাঁটা উপড়োতে স্পীকারের ওপর ভরসা রাখতে না পেরে এবার আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে গেরুয়া শিবির

মুকুল কাঁটা উপড়োতে স্পীকারের ওপর ভরসা রাখতে না পেরে এবার আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে গেরুয়া শিবির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মুকুল রায় বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসার পর থেকেই মুকুল নামক কাঁটাকে একেবারে উপরে ফেলতে গেরুয়া শিবির তৎপর হয়েছে। কার্যত এই তৎপরতার নেতৃত্বে রয়েছেন বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুকুল রায় বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই এই নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী আরও তৎপর হয়েছেন। কারণ মুকুল রায় বিজেপি বিধায়ক থাকার কারণেই এই কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন। সুতরাং মুকুলকে কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরাতে হলে অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রণয়ন করতে হবে। আর এখানেই শুরু হয়েছে সমস্যা।

কারণ স্পিকারের কাছে ইতিমধ্যেই আবেদন করেছেন বিরোধী দলনেতা। কিন্তু শুক্রবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যাইয়ের ডাকা শুনানি যে শুভেন্দু অধিকারীকে খুশি করতে পারেনি তা তিনি বৈঠক শেষে নিজের অবস্থানেই স্পষ্ট করলেন। শুভেন্দু অধিকারী আজকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কি কথা হয়েছে তা জানাতে পারবেন না আইনত অসুবিধার জন্য। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করা হয়না ইচ্ছাকৃতভাবেই বলে ইঙ্গিত করেন শুভেন্দু। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, তৃণমূল পরিচালিত কোন ব্যবস্থার ওপর বিজেপির আর কোন আস্থা নেই। তাই এবার আইনের আশ্রয় নেবেন তাঁরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, গেরুয়া শিবির যাবতীয় তথ্য প্রমাণ সহকারে আদালতে যাবে এবং সেখানেই আবেদন করা হবে দলত্যাগ বিরোধী আইন যাতে কার্যকর হয় মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি এই মামলা যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি সেই আবেদনও করা হবে। একইসাথে শুভেন্দু অধিকারী এদিন গাজলের বাম বিধায়ক দিপালী বিশ্বাসের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি জানান, যখন দিপালী বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বাম পরিষদীয় দল দলত্যাগ বিরোধী আইনে অভিযোগ এনেছিল, তখন তার নিষ্পত্তি হয়নি।

অবশ্য শুভেন্দু অধিকারী আদালতে যাবার সিদ্ধান্তের পাশাপাশি এদিন জানিয়েছেন, স্পিকার তাঁকে যতবার ডাকবেন শুনানিতে, তিনি ততবার হাজিরা দেবেন। সব মিলিয়ে মুকুল রায়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে যত রকম ভাবে চেষ্টা করা যায় গেরুয়া শিবির এখন সে পথেই হাঁটছে। তবে সংবিধান অনুসারে দলত্যাগ বিরোধী আইনে বিধায়ক পদ খারিজ করার অধিকার একমাত্র স্পিকারের আছে বলেই জানা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে গেরুয়া শিবিরের পদক্ষেপ তাঁদেরকে বেকায়দায় ফেলবে নাতো? প্রশ্ন উঠছে এখনই।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!