প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  শারদ উৎসবের আগেই বাংলায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী বিধানসভা নির্বাচন বিজেপির কাছে প্রধান টার্গেট, তা অমিত শাহের বঙ্গ সফরেই কার্যত প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে। আর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরের আগেই এবার উত্তরবঙ্গের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে শিলিগুড়িতে চলে এলেন যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

বর্তমানে যেভাবে দলের একাধিক নেতা প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে শুরু করেছেন, তাতে তৃণমূলের চিন্তা বাড়ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে দল ভাঙনের আশঙ্কা যখন তৈরি হয়েছে, ঠিক তখনই বিজেপিকে মাত দিতে আগেভাগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোর উত্তরবঙ্গ সফরে এসে সেখানকার নেতাদের মান ভাঙানোর চেষ্টা করার উদ্যোগ নিলেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একাংশ বলছেন, নতুন জেলা কমিটি তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করলেও, কোচবিহার থেকে শুরু করে হুগলি বিভিন্ন জেলায় দলের নেতারা প্রকাশ্যে নানা মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। যার জেরে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়ছে শাসক দল। এমনকি তৃণমূলে যেহেতু বিদ্রোহী নেতাদের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে, তাই তারা অনেকেই অমিত শাহের সফরকালে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিতে পারেন বলেও গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে রাজনৈতিক মহলে। তাই এই পরিস্থিতিতে সেই সমস্ত নেতাদের মান ভাঙাতে এবং উত্তরবঙ্গে দলকে চাঙ্গা করতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সফর বলে দাবি একাংশের।

অনেকে আবার বলছেন, আসলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই সফর করে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের ম্যাজিককে আটকে দিতে চাইছেন। কেননা সম্প্রতি মুকুল রায় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পরেই আবার তিনি দল ভাঙানোর খেলায় নেমেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। আর মুকুল রায় যদি সেই খেলা শুরু করে দেন, তাহলে তাকে আটকানো যে খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়, তা ভালোই বুঝতে পেরেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।

আর তাই অমিত শাহের সফরে সেই মুকুল রায় নিজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে ব্যাপক চমক দিতে পারেন বলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল। সেদিক থেকে এই পরিস্থিতিতে সেই সমস্ত কিছু আটকে দিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোর তড়িঘড়ি উত্তরবঙ্গ সফরে এলেন বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। এখন অমিত শাহের সফরের আগে দলের সংগঠনকে চাঙ্গা করতে প্রশান্ত কিশোর এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ সফর কতটা কাজে দেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।