এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মুকুল-কৈলাশেই কি ভরসা রাখলেন নাড্ডা? দিলীপ শিবিরের অন্দরে কি চাপা ক্ষোভ? বাড়ছে জল্পনা

মুকুল-কৈলাশেই কি ভরসা রাখলেন নাড্ডা? দিলীপ শিবিরের অন্দরে কি চাপা ক্ষোভ? বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিজেপিকে নিজের মতো করে গুছিয়ে নিচ্ছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। অমিত শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দায়িত্ব নেওয়ার পর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হন জে পি নাড্ডা। জে পি নাড্ডার বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতির পদ লাভের সময় অনেকেই মনে করেছিলেন যে, তিনি নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের ছত্রছায়ায় থেকেই দল পরিচালনার কাজ করবেন। তবে, দেখা যাচ্ছে জে পি নাড্ডা অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদির প্রভাবে থেকেও নিজের মতো করে দল চালাচ্ছেন। আর এই কারনেই বিজেপিতে অমিত শাহর ঘনিষ্ঠরা কিছুটা বিপাকে পড়ছেন। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপিতেও এমন পদক্ষেপ শুরু হলো।

রাজ্য বিজেপিতে ক্রমশই বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়ের প্রভাব বাড়ছে। অন্যদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রভাব কমে আসছে। জে পি নাড্ডার হস্তক্ষেপেই তেমন ঘটছে বলে অনেকের ধারণা। এবারের দীপাবলীর সময়েই বিশেষ পদক্ষেপ নিয়ে মুকুলের হাত শক্ত করতে করতে চলেছেন জে পি নাড্ডা। যে কারণে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ দিলীপ ঘোষ এর অনুগামীরা। তবে, সর্ব ভারতীয় সভাপতির বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস করছেন না কেউই।

আবার, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নামে একাধিক অভিযোগ আছে বিজেপির অন্তরে। দলে তিনি বেপরোয়া, একছত্র শাসন চালান বলে যেমন অভিযোগ আছে। তেমনি, অন্যদল মূলত তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা একাধিক নেতা অভিযোগ করেছেন যে, দলের কর্মসূচিতে তাঁদেরকে কোনো গুরুত্ব দেয়া হয় না। দলের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রেও গুরুত্ব দেয়া হয় না তাঁদের। এ নিয়ে দলের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে বারবার এমন অভিযোগ এসেছে।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দিল্লিতে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। দিলীপ ঘোষের কুবাক্য, বেপরোয়া মনোভাব থেকে শুরু করে রাজ্য বিজেপিতে দিলীপ ঘোষের অনুগামীদের দুর্নীতি, চারিত্রিক অধঃপতন, গ্রেফতারি নিয়ে বহু অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবার আশঙ্কা আছে। যা শেষপর্যন্ত অনুধাবন করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যার ফলে সময় নষ্ট না করে, রাজ্য বিজেপিকে নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে এলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে রাজ্য বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল ক্রমশ বাড়ছে। যে খবর অজানা নেই জে পি নাড্ডার কাছে। এদিকে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বঙ্গসফরে এসে দিলীপ ঘোষকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, তাঁর দল পরিচালনার বিষয়টিতে খুব একটা সন্তুষ্ট নন বিজেপি দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, এমনটাই রাজ্য বিজেপির অন্দরের খবর। তবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের কথা চিন্তা করেই, রাজ্য বিজেপি সভাপতির পদ থেকে দিলীপ ঘোষকে অপসারিত করছেন না জে পি নাড্ডা।

সম্প্রতি রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ চেয়েছিলেন, রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষকের পদ থেকে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে অপসারিত করতে। সেই সঙ্গে অরবিন্দ মেননকেও অপসারিত করতে। কারণ, এই দুই কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে তেমন একটা বনিবনা নেই তাঁর। তাই এদের নজরদারিতে দল চালাতে চান না তিনি। কিন্তু তাঁর সেই অনুযোগ মেনে নেননি জে পি নাড্ডা। কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক যেমন তিনি করে রেখেছেন, তেমনি রেখে দিয়েছেন অরবিন্দ মেননকেও সহ পর্যবেক্ষক করে রেখে। অমিত মালব্যকে নতুন দায়িত্ব দিলেন।

সম্প্রতি, অমিত মালব্যকে বঙ্গ বিজেপির আইটি সেলের দায়িত্ব দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। তাঁকে বঙ্গ বিজেপির আইটি সেলের প্রধান করে বাংলা পাঠানো হচ্ছে। তাঁর এই সমস্ত পদক্ষেপের মাধ্যমে একদিকে যেমন ক্ষমতা বৃদ্ধি ঘটছে মুকুল রায়ের। তেমনি দলে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন দিলীপ ঘোষ। যার ফলে ক্ষোভ বাড়ছে দিলীপ ঘোষের শিবিরের। তবে এ সবে কান না দিয়ে জে পি নাড্ডা নিজের মতো করেই নিয়ন্ত্রণ করছেন বঙ্গ বিজেপিকে। মুকুল, কৈলাসের উপরে নাড্ডার অধিক ভরসা নিয়ে দিলীপ শিবিরে বাড়ছে চাপা ক্ষোভ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!