এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মুকুল-প্রভাবে কি জেরবার বিজেপি? হেভিওয়েট বিধায়কের ইস্তফা ঘিরে জল্পনা!

মুকুল-প্রভাবে কি জেরবার বিজেপি? হেভিওয়েট বিধায়কের ইস্তফা ঘিরে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সম্প্রতি বিজেপির হেভিওয়েট নেতা মুকুল রায় ভারতীয় জনতা পার্টি ছেড়ে যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। আর তারপর পশ্চিমবঙ্গ বিজেপিতে যেমন ভাঙনের আশঙ্কা শুরু হয়েছে, ঠিক তেমনই ত্রিপুরা বিজেপিতেও ব্যাপক ভাঙ্গন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় ভাঙ্গন আটকাতে সবরকম প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। মুকুল রায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সুদীপ রায় বর্মনের নেতৃত্বে একাধিক বিধায়ক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে কংগ্রেসের নাম লেখাতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে।

আর তার মাঝেই এবার ত্রিপুরাতে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়ল বিজেপির জোট সরকার। যেখানে বিজেপির সঙ্গে জোট থাকা আইপিএফটির বিধায়ক বৃষকেতু দেববর্মা নিজের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে। হঠাৎ কি কারণে হেভিওয়েট বিধায়ক তার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার আইপিএফটির নেতা তথা সিমনা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে তার ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। হঠাৎ কি কারণে তিনি তার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন? জানা গেছে, ইস্তফাপত্রে হেভিওয়েট বিধায়ক লিখেছেন, “সিমনা অঞ্চল থেকে বিধায়ক হিসেবে আমি নির্বাচিত হয়েছিলাম। ব্যক্তিগত কারণে বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অধ্যক্ষের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, আমার এই ইস্তফা পত্র গ্রহণ করুন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বস্তুত, আইপিএফটির সঙ্গে জোট করেই ত্রিপুরাতে সরকার গঠন করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বর্তমানে ত্রিপুরায় বিজেপির অস্বস্তি তীব্র হয়েছে। সুদীপ রায় বর্মন সহ একাধিক বিধায়ক দলবদল করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেই সময় জোটসঙ্গী আইপিএফটির অন্যতম বিধায়কের এভাবে ইস্তফা তার অন্য দলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত বলেই দাবি করছেন একাংশ।

কিন্তু তাদের দলের বিধায়ক এভাবে ইস্তফা দিলেন, অথচ তারা কিছুই জানতেন না! এদিন এই প্রসঙ্গে আইপিএফটির অন্যতম মুখপাত্র মঙ্গল দেববর্মা বলেন, “এই বিষয়ে আমাদের আগাম কোনো ধারণা ছিল না। সিমনা বিধানসভা অতি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। 25 বছর পর সেখানকার মানুষ আমাদের ভরসা করে ভোট দিয়েছিলেন। হয়ত উনি দলকে ওনার এই সিদ্ধান্তের কার্যকারণ দলকে জানাবেন।”

অনেকে বলছেন, বিধায়ক পদে ইস্তফা দেওয়ার পেছনে বড় কোনো কারণ রয়েছে বৃষকেতু দেববর্মার। তবে এক্ষেত্রে তিনি বড় রাজনৈতিক কোনো সিদ্ধান্তের জন্যই কি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নাকি এর পেছনে রয়েছে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত এখন এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বিধায়ক পদে ইস্তফা দেওয়ার পর এখন পরবর্তী রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন কিনা আইপিএফটি নেতা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!