এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মুকুল প্রভাবে কি শক্তিখর্ব হবে ত্রিপুরা বিজেপির? মেগা বৈঠকে হেভিওয়েট নেতার উপস্থিতি নিয়ে জল্পনা!

মুকুল প্রভাবে কি শক্তিখর্ব হবে ত্রিপুরা বিজেপির? মেগা বৈঠকে হেভিওয়েট নেতার উপস্থিতি নিয়ে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বরাবরই সর্বভারতীয় রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পরিচিত মুকুল রায়। বিজেপি হোক বা তৃণমূল, যখন যে রাজনৈতিক দলে থেকেছেন মুকুল রায়, তখন সেই রাজনৈতিক দল তাকে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে কাজে লাগিয়েছে। বলা বাহুল্য, মুকুলবাবুর দল ভাঙানোর অন্যতম কারিগর বলেই পরিচিত। ইতিমধ্যেই বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে পরাজিত হওয়ার পর তাদের দল ভাঙতে শুরু করেছে। মুকুল রায়ের মত হেভিওয়েট নেতা আবার বিজেপি ছেড়ে নিজের পুরনো দল তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এসেছেন।

স্বাভাবিক ভাবেই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি মুকুল রায়ের হাত দিয়েই ভেঙে খানখান হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে গেরুয়া শিবির যখন ব্যাপক চিন্তিত, ঠিক তখনই ত্রিপুরা নিয়ে ক্রমশ চিন্তা বাড়ছে ভারতীয় জনতা পার্টির। কেননা এই ত্রিপুরাতে মুকুল রায়ের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। এমনিতেই ত্রিপুরার বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে খুব একটা ভালো সম্পর্ক নেই সেখানকার গুরুত্বপূর্ণ নেতা সুদীপ রায় বর্মনের।

স্বাভাবিকভাবেই বর্তমান পরিস্থিতিতে মুকুল রায় যখন তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এসেছেন, তখন আবার সুদীপবাবুর নেতৃত্বে একাধিক বিজেপি বিধায়ক ঘাসফুল শিবিরে নাম লাগাতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে। আর তা যদি হয়, তাহলে ত্রিপুরাতে খুব একটা ভালো জায়গায় থাকবে না ভারতীয় জনতা পার্টিতে। বাংলার ভরাডুবির পর তাই এখন ত্রিপুরার দিকে মনোযোগ দিতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির।

জানা গেছে, ত্রিপুরাতে সমন্বয় বজায় রাখতে এবং কেউ যাতে দলবদল না করেন, তার জন্যই এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়া মুকুল রায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ পরিচিত সুদীপ রায় বর্মন এবং তার অনুগামী নেতা ও বিধায়করা রাখবেন কিনা, সেটাই জল্পনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ত্রিপুরা জুড়ে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, সোমবার ত্রিপুরায় বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হওয়ার কথা। যে বৈঠকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতারা উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু সেই বৈঠকে যদি সুদীপ রায় বর্মন অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে কার্যত ধরে নিতে হবে যে, সুদীপবাবু দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করছেন। যার নামান্তর তার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তাই সকলের নজর রয়েছে এদিনের বৈঠকে সুদীপবাবু কি পদ্ধতি গ্রহণ করেন! তিনি কি সরাসরি এই বৈঠকে যোগদান করেন, নাকি বৈঠকে অংশগ্রহণ না করে বিজেপিকে বার্তা দিতে চান যে, তার সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে! তবে যদি সুদীপ রায় বর্মন গেরুয়া শিবিরের এই বৈঠকে যোগদান না করেন, তাহলে ত্রিপুরাতে বিজেপির ভাঙ্গন যে শুধু সময়ের অপেক্ষা, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলা নিয়ে বহু স্বপ্ন থাকা সত্ত্বেও তা অধরা থেকে গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে। কোনোরকমে 77 টি আসন পেয়ে রাজ্যে বিরোধীদলের জায়গা দখল করেছে তারা। তবে তারপরেই মুকুল রায়ের মতো হেভিওয়েট নেতা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। যার প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে তো পড়বেই। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী রাজ্য ত্রিপুরাতেও পড়বে বলে ধরে নিয়েছেন বিজেপির একাংশ।

তাই তড়িঘড়ি ত্রিপুরা রক্ষা করতে এখন ময়দানের করছে গেরুয়া শিবিরের রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তবে সবটাই নির্ভর করছে বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম নেতা মুকুলবাবুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ত্রিপুরা বিজেপির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা সুদীপ রায় বর্মনের ওপর। তাই শেষ পর্যন্ত সুদীপবাবু সোমবারের বৈঠকে উপস্থিত থাকেন, নাকি দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ান, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!