এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > মুকুল-অর্জুন যুগলবন্দী – কাঁচরাপাড়া থেকে হালিশহর, তৃণমূলের পতাকা ধরার কেউ থাকল না! দাবি গেরুয়া শিবিরের

মুকুল-অর্জুন যুগলবন্দী – কাঁচরাপাড়া থেকে হালিশহর, তৃণমূলের পতাকা ধরার কেউ থাকল না! দাবি গেরুয়া শিবিরের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া এক্সক্লুসিভ – লোকসভা নির্বাচনের আগে ভাটপাড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তথা ব্যারাকপুরের ভোট ম্যানেজার অর্জুন সিং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে একটাই আবেদন করেছিলেন – ওই লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী নির্বাচনের মরশুম ছাড়া সাংসদ এলাকাতে পা রাখেন না। তাই লোকসভা কেন্দ্র সামলাতে হয় কার্যত অর্জুন সিংকেই – ফলে, ব্যারাকপুরের মানুষের দাবিকে মান্যতা দিয়ে লোকসভা ভোটে দীনেশ ত্রিবেদীকে নয়, প্রার্থী করা হোক অর্জুন সিংকেই।

কিন্তু, বিভিন্ন রাজনৈতিক সমীকরণে শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীনেশ ত্রিবেদীকেই ব্যারাকপুরের টিকিট দেন, বদলে অর্জুন সিংকে দিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রীত্বের ‘টোপ’ (কথাটি আমাদের নয়, অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ শিবিরের দাবী) – যা কার্যত খারিজ করে দিয়ে অর্জুন সিং প্রমান করতে চেয়েছিলেন – ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের রাজনীতিতে তিনিই শেষ কথা। আর তাই, কালবিলম্ব না করে তিনি পুরোনো ‘সহকর্মী’ মুকুল রায়ের হাত ধরে যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। বিজেপিও কালবিলম্ব না করে ব্যারাকপুরের প্রার্থী হিসাবে অর্জুন সিংয়ের নাম ঘোষণা করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু, এই দলবদলকে কোনো পাত্তাই দিতে চায় নি তৃণমূল শিবির – জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় – সবারই দাবি ছিল, অর্জুন সিং দল ছাড়ায় দলের ‘আবর্জনা’ পরিষ্কার হয়েছে। পিছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে নিলে আর মাথা থেকে তৃণমূল নেত্রীর হাত সরে গেলে যে কি হাল হবে তা ভোটের ফলাফল বেরোলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে মুকুল রায় থেকে শুরু করে অর্জুন সিংয়ের কাছে। এরই মাঝে অর্জুন সিংকে কোনঠাসা করতে ভাটপাড়া পুরসভায় অনাস্থা ভোট করিয়ে তাঁর চেয়ারম্যান পদ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। অর্জুন সিং শিবিরকে বার্তা দেওয়া হয়েছে, যিনি নিজের গড়ে পুরসভা ধরে রাখতে পারেন না, তিনি লোকসভা নির্বাচন কি জিতবেন?

কিন্তু, গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, রাজনীতির ময়দানে যাঁরা আছেন, তাঁরা কেউই ‘বাচ্চাছেলে’ নন – বঙ্গ রাজনীতির বর্তমানে কি অবস্থা এবং ২৩ শে মের পরে তা কোনদিকে মোড় নিতে চলেছে তা নাকি প্রথম দুদফার নির্বাচনের পরেই জলের মত স্পষ্ট হয়ে গেছে। আর তাই, তৃণমূলের পুরসভা ছিনিয়ে নেওয়া বা ব্যারাকপুরে দু থেকে আড়াই লক্ষ ভোটে জেতার দাবির যে কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই – তা শিল্পাঞ্চলের হাজার হাজার তৃণমূল নেতা-কর্মীদের গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেওয়া থেকেই স্পষ্ট। বিশেষ করে গতকাল হালিশহর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজা দত্ত ও যুবনেতা সুদীপ্ত দাসের বিজেপিতে যোগদানের পর নাকি কাঁচরাপাড়া থেকে হালিশহর, তৃণমূলের পতাকা ধরার কেউ থাকল না! কতটা সত্যি এই দাবি – বোঝা যাবে আগামী ৬ ই মে এই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের দিনই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!