আবার কি রক্তাক্ত নন্দীগ্রাম অধ্যায় ফিরে আসছে বাংলার বুকে? মুকুল রায়ের কথায় বাড়ল জল্পনা বিশেষ খবর রাজ্য May 4, 2018 বাংলার রাজ্য-রাজনীতিতে নন্দীগ্রাম-অধ্যায় এক অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ন অধ্যায়। এখানকার জমি আন্দোলনের সময় যে রক্তাক্ত দিন দেখতে হয়েছিল তা আজও ভুলতে পারেননি বাংলার মানুষ। সেই সময় তৎকালীন বিরোধীনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন তৎকালীন শাসকদল ও মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য পার্টি ক্যাডারদের পুলিশ সাজিয়ে এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে পাঠিয়েছিলেন। ফলে পার্টি ক্যাডাররা খাকি পোশাক পরে অথচ পায়ে হাওয়াই চটি দিয়ে নন্দীগ্রামে গিয়ে অমানুষিক অত্যাচার চালিয়েছিলেন। তা নিয়ে সিবিআই তদন্ত এখনো চলছে। যদিও সেদিন যাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল নন্দীগ্রাম কাণ্ডের ‘খুনি’ আখ্যা দিয়েছিলেন, সেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে কিছুদিন আগেই একমাত্র নীতিযুক্ত বামপন্থী আখ্যা দিয়েছেন। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে আর এবার মালদায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বিজেপি নেতা মুকুল রায় যে ইঙ্গিত দিলেন তাতে সেই নন্দীগ্রাম পর্বের ক্যাডার-রাজের কথা মনে পরে যেতে বাধ্য। মুকুলবাবু প্রকাশ্য জনসভা থেকে বলেন, নির্বাচন কমিশন নয়, পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরাজয় নিশ্চিত জেনেই উনি ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করছেন। সরকারের অস্ত্রাগারে অস্ত্র আছে, ক্যাডারদের পুলিশ সাজিয়ে ভোট করার পরিকল্পনা সরকার নিয়েছে। সিভিক ভলান্টিয়ারদের পুলিশের পোশাক পরিয়ে অস্ত্রহাতে ভোট করার পরিকল্পনা করেছিল রাজ্য সরকার, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করেছে রাজ্য সরকারই। ৭ বছরে বাংলার কোনও উন্নয়ন হয়নি, উন্নয়ন হয়েছে তৃণমূলের, তাই ওদের জন সমর্থন তলানিতে ঠেকেছে। তাই অবাধ ভোটকে ভয় পাচ্ছে মমতার দল, সন্ত্রাসের নিরিখে সিপিএমকেও ছাপিয়ে গিয়েছে ওরা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা নন্দীগ্রাম কাণ্ডের পরেই তৃণমূল কংগ্রেসের উত্থান ও বামফ্রন্ট সরকারের পতন একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে পরে, সেইসময়ে বিরোধীনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ক্যাডার-রাজের অভিযোগ তুলেছিলেন তা সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করেছিলেন, ফলে তলানিতে এসে ঠেকেছিল তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের গ্রহণযোগ্যতা। আর তাই মুকুলবাবুও সেই একই দোষে দুষ্ট করতে চাইলেন বর্তমান তৃণমূল সরকারকে। এমনিতেই, পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্বে বিরোধীরা সম্মিলিতভাবে শাসকদলের সন্ত্রাসের কথা তুলে ধরেছেন, তার উপরে এইভাবে ক্যাডার-রাজের কথা তুলে রাজ্য সরকারের অস্বস্তি আরো বাড়াতে চাইলেন মুকুল রায় বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা। আপনার মতামত জানান -