মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি নিয়ে বড়সড় পদক্ষেপ শুভেন্দুর , চাপানউতোর তুঙ্গে কলকাতা তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য June 19, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মুকুল রায় তৃণমূল শিবিরে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তাঁর বিধায়ক পদ নিয়ে প্রশ্ন তোলে গেরুয়া শিবির। প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই ক্রমশ বেড়ে চলছিল গেরুয়া শিবিরের ভাঙনের গুঞ্জন। আর সেই ভাঙন অবশেষে মুকুল রায়ের হাত ধরেই হলো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মুকুল রায়ের দলবদলের পরে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সবথেকে বেশী সরব হয়েছেন মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ করা নিয়ে। এমনকি তিনি দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগের কথা বলেন। অবশেষে আজকে তিনি মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের আর্জি নিয়ে আবেদনপত্র তুলে দিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষের হাতে। সূত্রের খবর, শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষ থেকে চিঠি আসে এবং সেই চিঠি গ্রহণ করেন বিধানসভার অধ্যক্ষের ব্যক্তিগত সচিব। প্রসঙ্গত জানা যায়, মুকুল রায়কে নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হয়েছিল বিধায়ক পদ ছাড়ার জন্য। তিনি যখন বিধায়ক পদ ছাড়েননি নিজে থেকে, তখনই তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করে বিধায়ক পদ খারিজের আর্জি জানিয়ে বৃহস্পতিবার আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু বিধানসভার রিসিভ সেকশন বন্ধ থাকায় সেই আবেদন গ্রহণ করা যায়নি। শুক্রবার শুরুতেই শুভেন্দু অধিকারী জানান, এদিনও যদি রিসিভ সেকশন বন্ধ থাকে, তাহলে অধ্যক্ষকে ইমেইল করা হবে। তবে ইমেইল পর্যন্ত আর এগোতে হয়নি, তার আগেই চিঠি জমা পড়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে বিধায়ক পদ ছাড়বেন কিনা তা নিয়ে অবশ্য তিনি কোনো মতামত দেননি তৃণমূল নেতা মুকুল রায়। ইতিমধ্যেই মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ নিয়ে রাজ্যপালের কাছে একদফা নালিশ জানিয়ে এসেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তারই প্রেক্ষিতে রাজ্যপাল মন্তব্য করেছেন, গত 10 বছরে পশ্চিমবঙ্গের দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করা হয়নি, এবার তা প্রয়োগ করা হবে। অন্যদিকে রাজ্যে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় জানিয়েছেন, সংবিধান অনুযায়ী দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করে বিধায়ক পদ খারিজ করা যায় কিনা তা একমাত্র সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বিধানসভার স্পিকার। এখানে রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপালের কোনো ভূমিকা নেই। অন্যদিকে বিধানসভা নির্বাচনের আগে সাংসদ পদ ত্যাগ না করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শিশির অধিকারী এবং সুনীল মণ্ডল। দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল তাঁদের সাংসদ পদ বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তা নিয়ে বিন্দুমাত্র কোন পদক্ষেপ করা হয়নি বলে জানা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ বাতিল হয়, ঠিক একই আইনে শিশির অধিকারী এবং সুনীল মন্ডলের সাংসদ পদ বাতিল হতে বাধ্য। তাই এবার দেখার, আগামী দিনে সাংসদ ও বিধায়ক পদের টানাপোড়েন কোন পর্যায়ে পৌঁছায়! আপনার মতামত জানান -