এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে করা মামলায় মামলাকারী বিজেপি বিধায়কের কাছে বিশেষ প্রশ্ন হাইকোর্টের

মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে করা মামলায় মামলাকারী বিজেপি বিধায়কের কাছে বিশেষ প্রশ্ন হাইকোর্টের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে করা বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়ের মামলায় তাঁর কাছে জবাব চাইল হাইকোর্ট। মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে কেন তিনি জনস্বার্থ মামলা করেছেন? আগামী ৪ ঠা আগস্ট এর মধ্যে তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। এরপর, আগামী ১০ ই আগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। একদিকে মামলাকারী বিজেপি বিধায়ক অন্যদিকে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেলের বক্তব্য শোনার পর এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।

প্রসঙ্গত, কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জয়লাভ করেছেন মুকুল রায়। তবে নির্বাচনের ফলাফলের পর তৃণমূলে যোগদান করেছেন তিনি। কিন্তু বিজেপির বিধায়ক পদ এখনো তিনি ধরে রেখেছেন। এরপর বিজেপির প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও মুকুল রায়কে পাবলিক একাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে। এরপর মুকুল রায়ের এই পদপ্রাপ্তির বিরুদ্ধে আদালতে জনস্বার্থ মামলা করেছেন কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। এ প্রসঙ্গে বিজেপির বিধায়ক জানিয়েছেন যে, সংসদীয় বা পরিষদীয় প্রথা অনুযায়ী পাবলিক একাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যানের পদ প্রধান বিরোধীদলের প্রাপ্য। মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন।

তাছাড়া বিজেপি তাঁকে এই পদের জন্য মনোনীতও করে নি। কিন্তু, এরপরেও সমস্ত প্রথাকে অগ্রাহ্য করে যেভাবে মুকুল রায়কে পিএসির চেয়ারম্যান করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ বেআইনি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এরপর এর বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা করেছেন তিনি হাইকোর্টে। গতকাল এই মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে যে, এই মামলা কেন জনস্বার্থ মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হবে?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকাল রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানিয়েছেন যে, তৃণমূলের কোন বিধায়ককে পাবলিক একাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান পদে মনোনীত করা হয়নি। বিরোধী দলের একজন বিধায়ককে এখানে মনোনীত করা হয়েছে। এখন তিনি দলবদল করেছেন, তা নিয়ে বিধানসভায় শুনানি চলছে। তিনি জানান, সংবিধানের ২১২ নম্বর ধারা অনুযায়ী, বিধানসভার অন্তর্গত কোন কমিটির চেয়ারম্যান নির্ণয়ের ক্ষমতা থাকে স্পিকারের হাতে। সাংবিধানিক বিধি অনুযায়ী, এ বিষয়ে কোন হস্তক্ষেপ করা যায় না। এর সঙ্গে জনস্বার্থ সম্পর্কিত কোন বিষয়ও সরাসরি যুক্ত নয়। এই কমিটিতে শাসক দলের পাশাপাশি বিরোধী দলও থাকে।

অন্যদিকে, গতকাল এই মামলার শুনানিতে বিধায়ক অম্বিকা রায়ের আইনজীবী পি এস নরসিংহ জানিয়েছেন যে, পাবলিক একাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান পদের কাজটি হলো জনস্বার্থমূলক। সরকারের আয়-ব্যয়ের সঙ্গে বিধানসভার এই কমিটির সম্পর্ক আছে। বিরোধীরা এই পদের দাবিদার। পাবলিক একাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান নিয়োগে নিরপেক্ষ ভূমিকা গ্রহণ করেননি বিধানসভার স্পিকার। বেআইনিভাবে মুকুল রায়কে এই পদে নিয়োগ করা হয়েছে বলে, অভিযোগ করেছেন তিনি।

উভয়ের বক্তব্য শোনার পর আগামী ১০ ই আগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। আবার, আগামী ৪ ঠা আগস্ট এর মধ্যে মামলাকারীকে জানাতে হবে যে, এই মামলা কেন আদালতে জনস্বার্থ মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হবে? এরপরই আদালত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের বেশকিছু আইনজীবী জানিয়েছেন যে, পরিষদীয় রীতি অনুযায়ী পাবলিক একাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যানের পদ বিরোধীদের জন্য ছেড়ে দেয়া হয় ঠিকই, কিন্তু এর কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত নেন স্পিকার, এ বিষয়ে কোন হস্তক্ষেপ করা যায় না। আর, এরসঙ্গে জনস্বার্থ সম্পর্কিত কোন কিছু যুক্তও নয়।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!