এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মুকুল রায়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন কি পূর্বপরিকল্পিত? কি বলছেন বিশ্লেষকেরা? জানুন বিস্তারিত

মুকুল রায়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন কি পূর্বপরিকল্পিত? কি বলছেন বিশ্লেষকেরা? জানুন বিস্তারিত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –প্রায় চার বছরের সম্পর্ক ছেদ করে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করলেন মুকুল রায়। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদ ছেড়ে দিলেন তিনি। তৃণমূলে তাঁকে সাদরে অভ্যর্থনা জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরীয় পরিয়ে দিয়ে তাঁকে দলে অভ্যর্থনা জানালেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এসেছে। মুকুল রায়ের এই প্রত্যাবর্তন দেখে অনেকেই প্রশ্ন করছেন, তাঁর এই প্রত্যাবর্তন কি পূর্বপরিকল্পিত?

একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক জানাচ্ছেন যে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই এমন ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে রেখেছিলেন মুকুল রায়। হঠাৎ করে তিনি দলে অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তেমন কোনো বক্তব্য রাখতেও দেখা যায়নি তাঁকে। এমন অবস্থা আগে কিন্তু ছিল না।

বিশেষ করে ২০১৭ সালে যখন তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, সে সময় বারবার কঠোরভাবে আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ও তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকে অনেকটাই ম্রিয়মান হয়ে পড়েন মুকুল রায়। দলের প্রচারে যেমন তাঁকে সেভাবে অংশ নিতে দেখা যায়নি, তেমনি তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করে তেমন কোনো বক্তব্য রাখতেও দেখা যায়নি তাঁকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে আশ্চর্যজনকভাবে নির্বাচনের সময় একবার মুকুল রায়ের প্রশংসা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছিল যে, মুকুল রায় শুভেন্দু অধিকারীর মত অতটা খারাপ নন। তাঁকে কৃষ্ণনগরে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তাঁকে বেচারা বলেও সম্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য যথেষ্ঠ বিস্মিত করেছিল রাজনৈতিক মহলকে। কিন্তু যা থেকে কেউই আঁচ করতে পারেন নি মুকুল রায়ের প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা।

আবার, ভোটের ফলাফলের পর যেদিন প্রথম বিধানসভায় গিয়েছিলেন মুকুল রায়, সেদিন তিনি জানিয়েছিলেন যে, কিছু কিছু সময় নীরব থাকতে হয়, সময় এলেই মুখ খুলবেন তিনি। যা তাঁর প্রত্যাবর্তনের আভাস বলেও মনে করছেন অনেকে। আবার, বিধানসভা নির্বাচনের আগে একাধিক নেতা- নেত্রী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন, তাঁদেরকে দলে ফেরানোর যথেষ্ট অসম্মতি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী সহ তৃণমূল নেতৃত্বের। কিন্তু মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে তেমন মনোভাব ছিল না মুখ্যমন্ত্রীর। ভোটের আগে তিনি দল ছাড়েন নি, আবার দলের বিরুদ্ধে তেমন কোনো বক্তব্যও সম্প্রতি তিনি রাখেননি। এ কারণে তাঁকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কোন আপত্তি ছিল না।

অনেকে মনে করছেন, মুকুল রায়ের বিজেপি ছাড়ার অন্যতম কারণ হলো, দলের সঙ্গে তিনি সঠিকভাবে মানিয়ে নিতে পারেননি। দলের সর্বভারতীয় পদ তাঁকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। তিনি বারবার অভিযোগ করেছিলেন, দল তাঁকে সঠিকভাবে ব্যবহার করছে না। বিধানসভা নির্বাচনে সময় দল তাঁকে সঠিকভাবে ব্যবহার করেনি। এছাড়া বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব তাঁকে না দেওয়া, তাঁকে পিএসি চেয়ারম্যান করা নিয়ে দলের দোলাচল অবস্থা, সবকিছু নিয়েই দলের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি। এরপর গতকাল তাঁর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!