“মমতা যা করছে তা চূড়ান্ত অসভ্যতা।” বিস্ফোরক মুকুল রায়,কেন বললেন একথা জেনে নিন বিস্তারিত রাজ্য January 22, 2019 অমিত শাহের সভার জন্য হেলিপ্যাড নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজ্যে। আর সেই বিতর্কে ঘি ঢাললেন বর্তমান বিজেপি নেতা মুকুল রায়। গতকাল বিকেলে মালদায় মুকুলবাবু অমিত শাহর সভার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে, আর এই নিয়েই তিনি বলেন, “গণতন্ত্র বাঁচাও সভায় হেলিপ্যাড নিয়ে রাজ্য সরকার যে অসভ্যতা করল তা ভারতবর্ষের অন্য রাজ্যে ভাবা যায় না। ” যদিও তিনি দাবি করেন যে, কয়েকদিন ধরে চলতে থাকা হেলিপ্যাড জটিলতাও মিটে গেছে। আর পুরাতন মালদার নারায়ণপুরের একটি বেসরকারি হোটেলের হেলিপ্যাড ব্যবহারের জন্যও তাঁরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। হোটেল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে সেই হেলিপ্যাড ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে দিয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন মুকুলবাবু ফের একবার শাসকদলকে আক্রমণ শানালেন। তিনি এদিন আক্রমণ করে জানান যে, ‘যিনি পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রকে হত্যা করছেন, তিনিই সার্কাস করে বাইরের লোক ডেকে এনে বলছেন, তিনি নাকি ভারতবর্ষের গণতন্ত্রকে বাঁচাবেন। তাই এটা মানুষের কাছে একটা হাস্যকর ঘটনা হয়ে গেছে। দু’দিন আগেই আমরা বিনা পয়সায় সার্কাস দেখলাম। কোনও সার্কাস না জমলে আগের দিন মাইক ফুঁকে প্রচার করা হয়, কাল সার্কাস দেখতে আসুন। সাদা বাঘ দেখা যাবে। তেমনই একটা সার্কাস আমরা কলকাতায় দেখলাম। এর কোনও গুরুত্ব বা মূল্য নেই। যে মানুষটা ভারতবর্ষের ৭০ বছরের ইতিহাসকে পিছনে রেখে দেশকে বিশ্বের ইতিহাসে জায়গা করে দিতে চলেছেন, যাঁকে পৃথিবীর অন্যান্য দেশ সমীহ করছে, তখন দেশের বাতিল কিছু লোকজন কলকাতায় এসে বলছে, নরেন্দ্র মোদিকে হটাতে হবে। বাংলায় যে গণতন্ত্র নেই, তা কি অখিলেশ কিংবা মায়াবতী জানেন? তাঁরা কি জানেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলায় ১০০ মানুষ খুন হয়েছে? ‘ সাথেই এদিন পার্থবাবুকে অখ্যাত নেন মুকুলবাবু। তিনি অভিযোগ করে বলেন যে, ‘পার্থবাবু আজ বলছেন, ত্রিপুরায় BJP জেতে কী করে? তাঁর জানা নেই, সেখানে কিন্তু সাধারণ নির্বাচন ছিল না। সেখানে যারা CPI(M) থেকে দলত্যাগ করেছিল, দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁদের সদস্যপদ যাওয়ায় সেখানে উপনির্বাচন হয়েছিল। পার্থবাবু কি জানেন এই রাজ্যে ১৮ জন বিধায়ক কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে গিয়ে বসে আছেন ? অথচ তাঁদের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন পাশ হয় না। এটাই হচ্ছে বাংলার গণতন্ত্র।’ সাথেই এদিন মুকুলবাবু দাবি করেনযে, ”গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে এই অসভ্যতা নজিরবিহীন। মমতা ব্যানার্জি BJP-কে ভয় পাচ্ছেন বলেই তিনি গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা করতে দেননি। এখনও সুপ্রিম কোর্টে যা ঝুলে রয়েছে। গণতন্ত্র নামটা শুনলেই এখন তাঁর আতঙ্ক হচ্ছে।” আপনার মতামত জানান -