মতুয়া ভোটকে কাছে পেতে মুকুল রায়কে নাম না করে ‘ধড়িবাজ’ বলে আক্রমন পার্থ চ্যাটার্জির রাজ্য November 6, 2018 লোকসভা ভোটের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে মতুয়া ভোট দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপি সংঘাতে ফের উত্তপ্ত রাজ্যরাজনীতি। রাজ্য বিজেপি সভাপতির নাম না করেই তাকে ‘ধড়িবাজ’ বলে আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গতকাল মাজদিয়ার রেলবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সর্ব ভারতীয় মতুয়া মহাসংঘের মহা ধর্ম সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন,”পাশের একটি ছোট মাঠে গিরিরাজ না ধড়িরাজকে নিয়ে এসে একটা ভয় দেখানোর চেষ্টা চলছে।” বললেন,তৃণমূল এনআরসি জানে না। বিজেপি যেভাবে এনআরসি-র মাধ্যমে বাঙালিদের উপর আক্রমণ করছে,মতুয়া,নমঃশূদ্রদের অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে তা সত্যিই সমালোচনার যোগ্য। উল্লেখ্য,দিন কয়েক আগেই কৃষ্ণগঞ্জের স্বর্ণখালি স্কুল মাঠে মতুয়া সমাজের একটি জনসভায় এসে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছিলেন কেন্দ্রের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের রাষ্ট্রমন্ত্রী গিরিরাজ সিং। একই মঞ্চে উপস্থিত থেকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষও কড়া কথা শুনিয়েছিল শাসকদলকে। হাজির ছিলেন হেভিওয়েট বিজেপি নেতা মুকুল রায়ও। এদিন মতুয়া মহাসংঘের মঞ্চ থেকে বিজেপিকেই পাল্টা দিলেন তৃণমূল মহাসচিব। এদিনের অনুষ্ঠানে রেকর্ড পরিমান ভীড় হয়েছিল মতুয়াদের। সংসদ সদস্য ও মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর, রানাঘাটের সংসদ সদস্য তাপস মণ্ডল, জেলা সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু, জেলা সভাপতি ও তেহট্টের বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্ত সহ অন্যান্য বিধায়কদের। এদিনের মহাসংঘের মঞ্চ থেকে গর্জে উঠে পার্থ বাবু বলেন, বিরোধীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে অপপ্রচার করছে। কিন্তু কোনো উসকানিতেই কাজ হবে না। তৃণমূলকে দূর্বল করার ক্ষমতা বিরোধীদের নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের রথের চাকা থামবে না, বলে হুঁসিয়ারী দিলেন তিনি। প্রসঙ্গে দিলীপ বাবুকে পরোক্ষভাবে কটাক্ষ করে জানালেন,”একটা গোয়ালা আছে, তাঁর কোনটা মুখ সেটা আমরা জানি না। এরা রাজনৈতিক কচ্ছপ। আমরা সবাই রামভক্ত আর এরা রাবণ।” তৃণমূল থাকতে বিরোধীরা কোনোভাবেই ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ক্ষমতায় আসার আগেই বাংলা ছাড়া করা হবে তাঁদের,এমনটাই বক্তব্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। অন্যদিকে,অসমের তিনসুকিয়া ঘটনা প্রসঙ্গ তুলে বিজেপি সমালোচনায় মুখর হলেন তিনি। বললেন, যেভাবে নৃশংসভাবে বাঙালিদের গুলি করে মারা হল এর দায় কে নেবে? বিজেপি মানুষের যোগ্য সম্মান দিতে পারে না। প্রসঙ্গে টানলেন ভুপেন হাজারিকার ‘মানুষ মানুষের জন্য’ গানের দু কলি। বললেন, সে মানবিক সম্প্রীতির গান সত্যিই মিথ্যে হয়ে গেলো বিরোধীদের আচরণে। অসমে বাঙালিরা যেভাবে অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন তাতে মানুষের অবস্থা যে পশুর থেকে খারাপ সেটাই বোঝা যাচ্ছে। বিভেদের রাজনীতি করা এই দল ক্ষমতায় আসার আগেই নিজেদের স্বরূপকে তুলে ধরেছেন। এমনটাই মনে করেছেন পার্থবাবু। আগামী ১৫ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী ঠাকুরনগরে এসে অনেক উপহার দেবেন বলেও আগাম জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের মহাসচিব। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে,লোকসভা ভোটের আগে মতুয়া ভোট ব্যাঙ্ক কবজা করতেই বিজেপির মতোই উঠে পড়ে লেগেছে তৃনমূলও। শাসকদলের তো আগের থেকেই নজর ছিল এই ভোটব্যাঙ্কের উপর। তবে সম্প্রতি বিজেপি-তৃণমূলের দ্বন্দ্ব মতুয়া সংগঠনেও ফাটল তৈরি করেছে। তাই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দড়ি টানাটানি চলছে। এদিন বিজেপির নদীয়ায় করা জনসভার মাঠেই জনসভা করে পাল্টা দিল তৃণমূল। মতুয়াদের জমায়েত করে বুঝিয়ে দিল মতুয়ারা তৃণমূলের সঙ্গেই আছেন। আপনার মতামত জানান -