এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > বিধায়ক খুনে মকুল রায়ের নামে এফআইআর, সাথেই ওসি ও বিধায়কের দেহরক্ষীকে সাসপেন্ড

বিধায়ক খুনে মকুল রায়ের নামে এফআইআর, সাথেই ওসি ও বিধায়কের দেহরক্ষীকে সাসপেন্ড


লোকসভা ভোটের মুখে এক তৃণমূল বিধায়ক খুনে অভিযুক্তের তালিকায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের নাম উঠে আসায় শোরগোল পড়ে গেল রাজনৈতিকমহলে। ঘটনাটি কৃষ্ণগঞ্জের। ভর সন্ধ্যে বেলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হয়েছেন সত্যজিৎ রায়। ঘটনার ২৪ ঘন্টা পেরোতে না পেরোতেই কর্তব্যের গাফিলতির অভিযোগে হাঁসখালি থানার ওসি এবং বিধায়কের দেহরক্ষীকে সাসপেন্ড করল প্রশাসন।

বিভগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দুজনের বিরুদ্ধেই। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ঘটনায় আটক করা হয়েছে তিনজনকে। এছাড়া বিজেপি নেতা মুকুল রায় সহ আরো চারজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে হাঁসখালি থানায়। অভিযোগ পেতেই তদন্তে নেমে পড়েছে পুলিশ। এদিকে তৃণমূল বিধায়কের খুনের ঘটনার জেরে থমথমে হয়ে রয়েছে এলাকা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সত্যজিৎ বিশ্বাস শাসকদলের যুবনেতা ছিলেন৷ নদীয়া কৃষ্ণগঞ্জে বিধায়ক হিসাবে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা ছিল তাঁর। এলাকায় কোনো অনুষ্ঠান হোক বা দলীয় প্রচার কর্মসূচি তাকে সব ব্যাপারেই সক্রিয় থাকতে দেখা গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত সূত্রের খবর, গতকাল সন্ধ্যায় মাজদিয়া ফুলবাড়ির এলাকায় একটি সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন এই বিধায়ক। আর সেটাই কাল হয়েছে তাঁর জীবনের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনুষ্ঠান মঞ্চের ঢিল ছোঁড়া দূরত্ব থেকে গুলি চালিয়ে বিধায়ককে খুন করে আততায়ীরা। ঘটনাস্থলেই প্রাণ যায় বিধায়কের। যেহেতু গতকাল পুজো ছিল তাই তাঁর দেহরক্ষী ছুটিতে ছিলেন। কাজেই দেহরক্ষী ছাড়াই সরস্বতী পুজোর ওই অনুষ্ঠানে যেতে হয়েছিলো বিধায়ককে। এরমধ্যে অনুষ্ঠান চলাকালীন কমপক্ষে ১০-১১ বার লোডশেডিং হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,এই অন্ধকারের সুযোগ নিয়েই চম্পট দেয় আততায়ীরা। একজনের পিছনে ধাওয়া করেও তাকে ধরা সম্ভব হয়নি। তদন্তে যে সব তথ্য উঠে এসেছে তার ভিত্তিতে অফিসারেরা মনে করছেন রীতিমতো ছক কষেই খুন করা হয়েছে কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ককে।

এদিকে পুজোর রাতেই বিধায়ক খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয়ে গিয়েছে এলাকা। বিক্ষুব্ধ বিধায়কের অনুগামীরা সঙ্গে সঙ্গেই বিজেপি নেতা মুকুল রায় সহ চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে হাঁসখালি থানায়। তাছাড়া তৃণমূলের তরফ থেকে ট্যুইট করেও বিজেপিকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে।

শাসকদলের বক্তব্য,লোকসভা ভোটের আগে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্যে প্ল্যান করে বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে খুন করেছে বিজেপি কর্মীরা। আজ নিহত বিধায়কের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে হাঁসখালি যাচ্ছেন তৃণমূলের মহাসচিব ও মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও নদিয়া জেলার পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল। সোমবার হাঁসখালি যাওয়ার কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ঘটনার অভিযোগে মুকুল রায়ের মতো রাজ্যবিজেপির প্রথম সারির নেতার নাম জড়ানোর জেরে গেরুয়াশিবির অস্বস্তিতে পড়লেও এখনো বিজেপির তরফ থেকে এ ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!