এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > গুরু মুকুল ভাঙছেন মাদার, প্রিয় শিষ্য শঙ্কুদেব দায়িত্ব নিয়েছেন ছাত্র-যুবর

গুরু মুকুল ভাঙছেন মাদার, প্রিয় শিষ্য শঙ্কুদেব দায়িত্ব নিয়েছেন ছাত্র-যুবর


বাংলার রাজ্য-রাজনীতি এখন এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে – তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে এসে সুচতুর রাজনৈতিক পরিকল্পনায় মুকুল রায় বাংলা থেকে গেরুয়া শিবিরকে দলীয়স্তরে রেকর্ড সংখ্যক ১৮ টি আসন এনে দিয়েছেন। আর তারপরেই কার্যত অস্তিত্বের সঙ্কটে পরে গেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস বলে দাবি মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ শিবিরের। মুকুল রায়ের হাত ধরেই বঙ্গ রাজনীতিতে পরিবর্তনের পরিবর্তন হতে চলেছে দাবি তাঁর অনুগামীদের। আর সেই কথা অনুধাবন করে এখন থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস তো বটেই এমনকি বামফ্রন্ট বা কংগ্রেসের হেভিওয়েট বিধায়করা লাইন লাগিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে।

আর তারই একটি ছোট ট্রেলার হিসাবে গতকাল মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিলেন তিন দলের তিন বিধায়ক। দিল্লিতে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়ের হাত থেকে বিজেপির পতাকা নিয়ে সরকারিভাবে গেরুয়া শিবিরে আজ নাম লেখালেন – তৃণমূলের বীজপুরের সাসপেন্ডেড বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়, হেমতাবাদের সিপিএমের বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায় এবং বিষ্ণুপুরের কংগ্রেস বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য্য। কিন্তু ‘রাজনৈতিক গুরু’ মুকুল রায় রাজ্য-রাজনীতির মাদার সংগঠনে ভাঙন ধরাচ্ছেন, তখন কেনই বা পিছিয়ে থাকেন প্রিয় শিষ্য শঙ্কুদেব পণ্ডা?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গুরুর দেখানো পথেই শিষ্য এদিন তৃণমূলের যুব সংগঠনে বড়সড় ভাঙন ধরিয়ে রীতিমত ঝড় তুলে দিলেন রাজ্য-রাজনীতিতে। এদিন তাঁর হাত ধরে দিল্লিতে গিয়ে বিজেপি শিবিরে নাম লেখালেন বর্ধমানের সদ্য প্রাক্তন যুব তৃণমূল সভাপতি ও বর্ধমান জেলা পরিষদের প্রাক্তন কর্মাধক্ষ্য শান্তনু কোনার, জুনিয়র ডক্টর এসোসিয়েশনের রাজ্য সহ-সভাপতি ডঃ অলোকনাথ সাউ, উত্তর দিনাজপুর জেলা টিএমসিপি অবজার্ভার ও রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপির আহ্বায়ক প্রিয়ব্রত দুবে, উত্তর ২৪ পরগনার টিএমসিপির সাধারণ সম্পাদক স্বাগতম দাস সহ একঝাঁক হেভিওয়েট যুবনেতা।

তবে, এই যোগদানের মাঝেই বিতর্ক শুরু হয় তৃণমূলের অঘোষিত দুনম্বর নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একদা ছায়াসঙ্গী রমাপ্রসাদ গিরিকে নিয়ে। রমাপ্রসাদ গিরি একদিকে যেমন পশ্চিম মেদিনীপুর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি, অন্যদিকে তেমনই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের কৃষি, সেচ ও সমবায় কর্মাধ্যাক্ষ। সেই রামপ্রসাদ গিরিকে এদিন দিল্লিতে এইসব যুবনেতাদের যোদানের সময় দেখা যাওয়ায়, এই নিয়ে বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে মুকুলবাবু জানান, রমা আমাদের সঙ্গেই ছিল, আমাদের সঙ্গেই আছে। কিন্তু, এই প্রসঙ্গে শঙ্কুদেব পণ্ডা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, রমাপ্রসাদ গিরি সরকারিভাবে বিজেপিতে যোগ দেন নি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রমাপ্রসাদ গিরির বিরুদ্ধে যাতে দলবিরোধী আইনে তৃণমূল কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে – তাই মুকুল-শঙ্কুর এই সুচতুর পরিকল্পনা!

এদিকে দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে যখন একের পর এক যোগদান পর্ব চলছে – তখন তৃণমূল ছেড়ে আসা যুব ও মাদারের নেতাদের কাছে তা যেন পুরোনো স্মৃতির একঝলক। কেননা, একসময় কলকাতার তপসিয়ায় তৃণমূলভবনে এইভাবেই একের পর এক যোগদান করতেন মুকুল রায়, আর প্রেস থেকে শুরু করে বাকি সবকিছু একার হাতে সামাল দিতেন শঙ্কুদেব পণ্ডা। এদিনও দিল্লিতে উঠে এল সেই এক পুরোনো ছবি। ফলে, গেরুয়া শিবিরে পা রেখেই পুরোনো স্মৃতির ‘নস্টালজিয়ায়’ আক্রান্ত সদ্য গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানো নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, মুকুল-শঙ্কু ম্যাজিক যেমন তৃণমূল কংগ্রেসকে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে দিয়েছিল – আমরা আশাবাদী, সেই একই ম্যাজিক গেরুয়া শিবিরকেও বাংলায় সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দেবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!