এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ভারতী ঘোষকে পাশে বসিয়ে তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক মুকুল রায়ের

ভারতী ঘোষকে পাশে বসিয়ে তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক মুকুল রায়ের


আজ সকালেই বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের আপ্ত সহায়ক একটি মেসেজ করে জানান দিল্লিতে দুপুর ১২ টার সময় এক সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তবে মুকুলবাবুর এই সাংবাদিক বৈঠক কি নিয়ে তার কোনো হদিশ ছিল না কারোর কাছেই। ফলে এই সাংবাদিক বৈঠকের খবর ঘিরে তীব্র জল্পনা ছড়ায় রাজ্য রাজীনীতিতে। মুকুলবাবু সাংবাদিক বৈঠকে আসেন, কিছুদিন আগেই তাঁর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজ্যের প্রাক্তন অন্যতম শীর্ষ ও প্রভাবশালী পুলিশ কর্তা ভারতী ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে।

ভারতী দেবীকে পাশে বসিয়ে মুকুলবাবু এদিন দিল্লিতে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ নিয়ে এলেন। সম্প্রতি কলকাতার বুকে আত্মহত্যা করেন আইপিএস অফিসার গৌরব দত্ত। কে ছিলেন এই গৌরব দত্ত আর কেনই বা তিনি আত্মহত্যা করলেন – তাঁর সুইসাইড নোট তুলে ধরে এদিন তাই এদিন সাংবাদিকদের সামনে নিয়ে এলেন মুকুলবাবু। মুকুলবাবুর দাবি, গৌরব দত্তের সুইসাইড নোটে স্পষ্টভাবে লেখা আছে তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী বাংলার মুখ্যমন্ত্রীই। কিভাবে ডাইরেক্টর জেনারেল অনুরোধ করা সত্ত্বেও, মুখ্যমন্ত্রী জোর করে তাঁর কেস বন্ধ করেননি বা অন্য কেসের ফাইল কিভাবে ইচ্ছাকৃতভাবে নষ্ট করা হয়েছে তা নাকি স্পষ্টভাবে লেখা আছে গৌরববাবুর সুইসাইড নোটে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মুকুলবাবুর আরও দাবি, গৌরববাবু তাঁর সুইসাইড নোটে লিখে গেছেন বিগত ১০ বছর ধরে কিভাবে প্রতি পদে পদে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ‘ভিক্টিমাইজড’ করে গেছেন। কিভাবে তাঁর নাম বারবার তালিকা থেকে কেটে বাদ দিয়ে দিয়েছেন। এমনকি গৌরববাবু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে সরাসরি কথা বলতে গেলে সেক্রেটারি গৌতম সান্যাল তাঁকে আটকে দিয়েছেন। শুধু এখানেই নাকি শেষ নয় – গৌরববাবু জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর এই সব পদক্ষেপের জন্য তাঁর সৎভাবে অর্জিত গ্র্যাচুইটি থেকে শুরু করে বিপুল পরিমান সেভিংস সব কিছু বন্ধ হয়ে যেতে বসেছিল। আর তাই, রাজ্যের ‘অনেস্ট অফিসারদের’ ভবিষ্যতে এই ধরনের ‘ভিক্টিমাইজড’ হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে তিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

মুকুলবাবুর দাবি, গৌরববাবুর সুইসাইড নোট বলছে, মুখ্যমন্ত্রী মুখে যতই বলুন তিনি আইপিএস অফিসারদের পাশে আছেন, আসলে তিনি তাঁদের ব্যবহার করে ছুড়ে ফেলে দেন। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে কোনো পুলিশ নিজের মুখ খুলতে পারেন না এবং সর্বদা প্রাণভয়ে থাকেন। শাসকদলের নেতাদের প্রতিশোধস্পৃহার ফলে, বর্তমানে রাজ্যের পুলিশরাই কার্যত বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন। পিকে রায় মুখার্জী থেকে শুরু করে নজরুল ইসলামের মত সৎ অফিসারদের কর্মজীবন মুহূর্তে শেষ করে দেওয়া হচ্ছে বাংলায়। আমাকে এই মানসিক অবস্থার মধ্যে এনে আত্মহত্যায় বাধ্য করার জন্য পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীই দায়ী। আর এর পরিপ্রেক্ষিতে মুকুলবাবু স্পষ্টভাবে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান।

মুকুলবাবুর আরও দাবি, কোনো ব্যক্তি আত্মহত্যা করলে তাঁর সুইসাইড নোটে যদি কারোর নাম পাওয়া যায় তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ৩০২ ও ৩০৬ ধারায় মামলা হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাহলে কেন তা থেকে ছাড় পাবেন? স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে সুইসাইড নোটে নাম থাকা সত্বেও বাংলায় রাজ্য সরকার কিছু করবে না – তাই আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। অন্যদিকে ভারতী দেবীও বলেন, যে তিনিও তাঁর আইপিএসের চাকরি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। আর মুকুলবাবু যে অভিযোগ গুলি সামনে আনলেন তার পরিপ্রেক্ষিতে অবশ্যই এফআইআর হওয়া উচিত। সাংবাদিক বৈঠকে ঠিক কি বলেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও ভারতী ঘোষ দেখে নিন নীচের ভিডিওতে –

https://www.youtube.com/watch?v=oXsIfcNZB-M

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!