বহিরাগত এনে হিন্দুদের ভোটার কার্ড কেড়ে নিয়ে এলাকা ছাড়া করছে শাসকদল – বিস্ফোরক মুকুল রায় বিশেষ খবর রাজ্য হাওড়া-হুগলি May 18, 2019 আগামী কাল সারা দেশের সঙ্গে এই রাজ্যেও সপ্তম তথা শেষ দফার ভোট গ্রহণ হতে চলছে আর তার পরেই আগামী ২৩ সে মে সেই বহু প্রতীক্ষিত রায় জানার দিন। আগামীকালের নির্বাচনে কলকাতা সহ সংশ্লিষ্ট একাধিক ভিভিআইপি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এইসব আসন ২০১৪ তো বটেই, ২০১৬ সালের নির্বাচনেও দেখিয়ে দিয়েছে যে পূর্ণ সমর্থন আছে তৃণমূলের সঙ্গে। কিন্তু, তারপরেই বদলে গেছে এখানকার সম্পূর্ণ চিত্র। ধর্মের ভিত্তিতে একাধিক জায়গায় গন্ডগোলের পাশাপাশি এইসব এলাকার হিন্দুদের ঘর ছাড়া করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে বিভিন্ন সময়ে দাবি করা হয়েছে বিরোধীদের তরফে। আর তাই, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দেখা গেছে, যেখানেই বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পেরেছে সেখানেই পরাজয় হয়েছে শাসকদলের। যে অঞ্চলে একসময় বিজেপির পতাকা ধরার লোক পাওয়াও দুস্কর হত, সেখানে হুহু করে বেড়েছে গেরুয়া শিবিরের ভোটব্যাঙ্ক। গেরুয়া শিবিরের নেতাদের বক্তব্য ছিল, রাজ্যের শাসকদল এক বিশেষ সম্প্রদায়কে তোষন করতে গিয়ে এ রাজ্যের সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের অস্তিত্বের প্রশ্ন তুলে দিয়েছে – আর তাই নাকি বাঁচার তাগিদেই এই অঞ্চলে মানুষ বিজেপিকে মনে প্রাণে চাইছে। যদিও, শাসকদল পাল্টা দাবি করেছে – এইসব অঞ্চলে বিরোধীদের কোনো অস্তিত্বই নেই, তাই উল্টোপাল্টা অভিযোগ এনে হাওয়া গরম করতে চাইছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই পরিস্থিতিতে শেষদফার নির্বাচনের আগে আজ হাওড়ায় এক সাংবাদিক বৈঠকে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। আজ মুকুলবাবু অভিযোগ আনেন, সারা বাংলায় ইতিমধ্যে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে যেখানে হিন্দু অধ্যুষিত গ্রাম আছে সেই গ্রাম থেকে ভোটারদের পরিচয়পত্র কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে, শুধু পরিচয়পত্র কেড়ে নেওয়াই নয়, গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বলা হচ্ছে বা বাধ্য করা হচ্ছে হিন্দুদের। তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে মুকুলবাবু জানান, পরাজয়ের ভয়ে এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উনি আর মানুষের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না। একদা তৃণমূলের ভোট ম্যানেজারের দায়িত্ব সামলানো, অধুনা গেরুয়া শিবিরের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড মুকুল রায় জানান, প্রত্যেকটা কেন্দ্রে হাজার হাজার বাইরের লোক এনে ঢোকাচ্ছে শাসকদল। বাইরে থেকে এত লোক এসেছে যে রিসর্ট, বিয়ে বাড়ি, হোটেল একটাও খালি নেই এই অঞ্চলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনে প্রচারে বলতে শুরু করেছেন ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বদলা নেবেন। আর এরপরেই আমাদের এক বিজেপির কার্যকর্তা খুন হয়েছেন, বাংলার মানুষ এমন অবস্থা মেনে নেবেন না। পশ্চিমবঙ্গে আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে। আর এই আতঙ্কের পরিবেশ মুছে ফেলতে ও বাংলায় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বিজেপিকে ভোট দিন। আপনার মতামত জানান -