এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সব্যসাচী প্রসঙ্গে তৃণমূলকে খোলা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্য রাজনীতি আরও জমিয়ে দিলেন মুকুল রায়

সব্যসাচী প্রসঙ্গে তৃণমূলকে খোলা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্য রাজনীতি আরও জমিয়ে দিলেন মুকুল রায়


শুরুটা হয়েছিল লুচি আলুর দম খাওয়াকে কেন্দ্র করে। হঠাৎই এক সন্ধ্যায় বিধাননগর পৌরসভার মেয়র তথা তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্তর বাড়িতে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান বিজেপি নেতা মুকুল রায়। আর এরপরই বাইরে বেরিয়ে এসে তিনি বলেন, “সৌজন্য সাক্ষাৎ। লুচি খেলাম, মিষ্টি খেলাম।” তবে দুজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মধ্যে শুধুমাত্র সৌজন্য সাক্ষাৎ হবে তা মানতে নারাজ কোনো পক্ষই।

আর তাইতো পরদিনই সব্যসাচী তৃণমূলেই আছেন, আর তৃণমূলেই থাকবেন, তা প্রমাণ করতে সেই সব্যসাচী দত্তকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু এরপরও বিভিন্ন সময় কখনও ভারত মাতা কি জয়, আবার কখনও বা বিদ্যুৎমন্ত্রী তথা প্রবীণ নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বারে বারেই দলের বিরুদ্ধে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে দেখা গেছে সব্যসাচী দত্তকে।

শুধু তাই নয়, লোকনাথ পুজোয় মুকুল রায়ের সঙ্গে খিচুড়ি খাওয়া এবং একাধিকবার সেই মুকুলবাবুর সঙ্গে তার সাক্ষাৎ রাজ্য রাজনীতিতে চরম জল্পনার সৃষ্টি করেছিল। আর এহেন একটা পরিস্থিতিতে সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে তৃণমূল অনাস্থা আনলেও এখনও পর্যন্ত তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করেনি ঘাসফুল শিবির। যা নিয়ে দলের অনেকে যেমন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে, ঠিক তেমনই কেন একাধিকবার বিজেপি নেতার সঙ্গে বৈঠক করা সত্ত্বেও সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে তৃণমূল কড়া পদক্ষেপ নিতে পারছে না – বিশেষজ্ঞদের মনেও সেই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করতে শুরু করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এবার সব্যসাচী দত্তকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে তুলে ধরে এই ব্যাপারে নিজের প্রাক্তন দলের উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে দেখা গেল বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে। সূত্রের খবর, শুক্রবার বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তর সঙ্গে ফের দেখা হয় বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের। মুকুলবাবু জানান, এদিন সব্যসাচী দত্ত যখন আদালতে গিয়েছিলেন, তিনি তখন তার ব্লাড সুগার চেক করতে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এসেছিলেন।

তাই নাকি সব্যসাচী দত্ত যখন আদালত থেকে ফিরছিলেন, ঠিক তখনই হাসপাতালের সামনে তাঁদের দুজনের দেখা হয়। আর এরপরই তৃণমূলের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে এই বিজেপি নেতা বলেন, “তৃণমূলের এত দুর্দশা! এতবার ‘ডিসওন’ করা সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতা নেই, হিম্মত নেই যে সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মুকুল রায় কিছুটা হলেও সত্যি কথা বলে তৃণমূলকে এদিন বিপদে ফেলে দিলেন।

কেননা অতীতে দেখা গেছে দলের বিরুদ্ধে কেউ বিস্ফোরক মন্তব্য করলেই তাঁকে শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে তিরস্কার অথবা বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে সব্যসাচী দত্ত প্রকাশ্যে বারবার দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য, আবার কখনও বা বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করলেও সেইভাবে তৃণমূলের তরফে তাকে বহিষ্কার করা হয়নি। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকেই।

আর তাই এবার এই ব্যাপারে তৃণমূলের শৃঙ্খলাকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে সব্যসাচী দত্তকে বহিস্কার করার ক্ষমতা নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলে ঘাসফুল শিবিরের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন এই হেভিওয়েট বিজেপি নেতা বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে শেষ পর্যন্ত বিজেপির মুকুল রায়ের এই চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করে তৃণমূল সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে এখন কড়া সিদ্ধান্ত নেয় কিনা, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!