ভারতী ঘোষ বিজেপিতে যোগ দিতেই, মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ হেভিওয়েট বিজেপি নেতা আবার গ্রেপ্তার কলকাতা মেদিনীপুর রাজ্য February 8, 2019 বর্তমান রাজ্য-রাজনীতিতে অত্যন্ত পরিচিত নাম হয়ে উঠেছেন আনিসুর রহমান। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। তৎকালীন বাম-আমলে যখন রাজ্য-রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল নন্দীগ্রাম আন্দোলনকে সামনে রেখে, সেই সময় ‘বাইরের কাউকে’ নন্দীগ্রামে প্রবেশ করতে অনুমতি দেয় নি তৎকালীন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্যের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার। কিন্তু, তখন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাইকের পিছনে বসিয়ে এই আনিসুর রহমান পৌঁছে দিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের আহতদের শিবিরে। পরবর্তীকালে, রাজ্য-রাজনীতিতে ক্ষমতার পরিবর্তন হলে পূর্ব-মেদিনীপুর জেলা ক্রমশ অধিকারী-গড় বলে সুপরিচিত হয়ে ওঠে। কিন্তু, তা সত্বেও সেই জেলার রাজনীতিতে আনিসুর রহমানের আলাদা একটা কর্তৃত্ব সবসময়েই প্রতিষ্ঠিত ছিল। তবে, মুকুল রায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত এই তরুণ-তুর্কি, মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়তেই দলে ক্রমশ কোনঠাসা হতে থাকেন। তা সত্বেও পাঁশকুড়ার পুর নির্বাচনে জিতে, দলীয় নির্দেশকে একপ্রকার অমান্য করেই বাকি নির্বাচিতদের সমর্থনে পাঁশকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান পদ ছিনিয়ে নেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর তারপরেই কাকতালীয়ভাবে বিভিন্ন পুলিশি মামলা শুরু হয় – জেলেও যেতে হয় আনিসুর রহমানকে। এমনকি ইস্তফা দিতে হয় চেয়ারম্যান পদ থেকে – যদিও, পরবর্তীকালে আদালতের নির্দেশে পুনরায় চেয়ারম্যান পদ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হয়। কিন্তু, আবারো তাঁকে এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কের জেড়ে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করে। আর এরপরেই, মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন আনিসুর রহমান। পরবর্তীকালে, তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হলেও – বর্তমানে তিনি জামিনে ছিলেন। কিন্তু, সেই আনিসুর রহমানকে গতকাল পুনরায় দমদম এয়ারপোর্টের গেট থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যদিও, কি কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা স্পষ্ট করেননি জেলার পুলিশ সুপার ভি সলোমন নেশাকুমার। তবে, কাঁথিতে অমিত শাহের সভাকে কেন্দ্র করে ঝামেলার ঘটনায় বিজেপির অন্যান্য নেতাদের পাশাপাশি আনিসুর রহমানের নামে অভিযোগ দায়ের হয়। এরপর থেকেই তাঁর খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরছিল পুলিশ। এমনকি, গত সপ্তাহে পাঁশকুড়ায় তাঁর বাড়ি ঘিরে পুলিশ তল্লাশি চালালেও তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এরপরেই, গত রবিবার ফেসবুক লাইভ করে শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। এমনকি, শাসকদলের দাপুটে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীও তাঁর নিশানা থেকে বাদ যান না। এরপরই গতকাল বিকেলে এয়ারপোর্টের গেট থেকে জেলা পুলিশের বিশেষ দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। গেরুয়া শিবিরের মতে, এতে জঙ্গলমহলে বড়সড় ক্ষমতা বৃদ্ধি হল তাঁদের। আর তাই, গেরুয়া শিবিরকে দুর্বল করার চেষ্টাতেই আনিসুর রহমানকে পুনরায় গ্রেপ্তার করা হল। আপনার মতামত জানান -