এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ঘুম উড়তে চলেছে তৃণমূলের? খুব শীঘ্রই শাসকদলে বড়সড় ভাঙ্গনের হুঙ্কার ছাড়লেন মুকুল রায়

ঘুম উড়তে চলেছে তৃণমূলের? খুব শীঘ্রই শাসকদলে বড়সড় ভাঙ্গনের হুঙ্কার ছাড়লেন মুকুল রায়


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কমবেশি প্রায় প্রত্যেকেই তাঁকে বাংলার রাজনীতির চাণক্য বলে অভিহিত করেন। তৃণমূলের হোক বা তিনি বিজেপির, বাংলার রাজনীতি ঘুরিয়ে দেওয়ার মত বা চমক দেওয়ার মত ক্ষমতা যে তিনি যথেষ্ট পরিমাণে রাখেন, তা স্বীকার করে নেন প্রত্যেকেই। সম্প্রতি তাকে নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে হঠাৎ করেই দাবি করা হচ্ছে, মুকুল রায় বিজেপিতে গুরুত্ব পাচ্ছেন না। তাই তিনি নাকি আবার তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন।

অন্যদিকে, সূত্রের খবর সম্প্রতি দিল্লি গিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে একান্ত আলোচনায় একুশের বিধানসভার মহাযুদ্ধ নিয়ে তিনি আলোচনা সেরে এসেছেন। আর দিল্লি থেকে ফিরে আসার পরেই এবারে তৃণমূলকে ভাঙ্গার হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন বঙ্গ বিজেপির চানক্য মুকুল রায়। সূত্রের খবর, এদিন মুকুলবাবু বলেন, “তৃণমূল নেতাদের মধ্যে রাজ্য যারা চালাচ্ছেন, তাদের বহু মানুষ যে কারণেই হোক আমার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। তারা প্রত্যেকেই ভালো সংগঠক।”

আর মুকুল রায়ের এই কথাটিতেই ছড়িয়ে পড়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। অনেকে বলছেন, এক সময় মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েট নেতা, বিধায়করা বিজেপিতে যোগদানের পর তৃণমূলের ভেতরে তীব্র শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল। পরবর্তীতে সেভাবে এই যোগদান পরপর দীর্ঘায়িত হতে দেখা যায়নি। অনেকেই বিজেপিতে আসতে চেয়েও তৃণমূল থেকে গিয়েছেন। সেদিক থেকে মুকুল রায়ের ক্যারিশমা সেভাবে চোখে পড়েনি।

[content_block id=39107

কিন্তু এবার দিল্লি থেকে ফিরে এসে যেভাবে তৃণমূলের অনেকে তার সাথে যোগাযোগ রাখছে বলে দাবি করে বসলেন বিজেপির এই হেভিওয়েট নেতা, তাতে তার এই কথা বাস্তবে অনেকটাই ফলপ্রসূ হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অনেকে বলছেন, সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপির পক্ষ থেকে দিল্লিতে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এখন থেকেই যেন ময়দানে নেমে পড়া হয়। সেদিক থেকে মুকুল রায় ময়দানে নামলে তৃণমূলের অনেকেই যে তার হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করবে সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

তবে মুকুল রায় বিজেপিতে গুরুত্ব পাচ্ছেন না বলে সাম্প্রতিককালে সমালোচক মহলেরও তরফে যে দাবি করা হয়েছে, এদিন তা সম্পূর্ণরূপে নস্যাৎ করে দেন এই বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, “বিজেপিতে কে পুরোনো, কে নতুন, তাকে গুরুত্ব নয়। নবীন-প্রবীণের সংমিশ্রন নিয়েই কাজ করতে হবে। যাদের যোগ্যতা রয়েছে এবং যারা বিজেপিতে যোগ দিতে চাইছেন তাদের প্রত্যেককে গুরুত্ব দেওয়া হবে।” অর্থাৎ, মুকুলবাবুর কথাতেই স্পষ্ট বাংলায় তাঁর রাজনৈতিক গতিবিধি এগিয়ে নিয়ে যেতে অমিত শাহের সবুজ সঙ্কেত তিনি পেয়ে গেছেন।

আর তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের এর ফলে বড়সড় বিপদ রয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে সমালোচকদের বক্তব্যকে রীতিমত খন্ডন করে ভবিষ্যতে তৃণমূলের ভাঙ্গনের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেল বাংলার রাজনীতির চাণক্য তথা হেভিওয়েট বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে, যা দীর্ঘদিন তাঁর গলায় শোনা যায় নি। ফলে, অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন খুব শীঘ্রই হয়ত শাসকদলে এবার বড়সড় এক ভাঙন দেখা দিতে পারে। এখন তার এই কথা বাস্তবে কতটা ফলপ্রসু হয়, কোনদিকে এগোয় বঙ্গ রাজনীতির গতি-প্রকৃতি, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!