এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > নিহত জেলা সভাপতির স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পরেই বিস্ফোরক মুকুল রায় – এটা দুর্ঘটনা নয়, খুন!

নিহত জেলা সভাপতির স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পরেই বিস্ফোরক মুকুল রায় – এটা দুর্ঘটনা নয়, খুন!

গত শুক্রবারই বিজেপির পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গের 24 টি জেলার সভাপতি নির্বাচন করা হয়। যেখানে শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতির দায়িত্বে থাকা অভিজিৎ রায় চৌধুরী ফের সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। তবে দ্বিতীয়বারের জন্য তার জার্নি সুখকর হয়নি। দায়িত্ব নিয়েই কলকাতা থেকে ফেরার পথেই মৃত্যু হয় সেই অভিজিৎ রায় চৌধুরীর। বর্তমানে এই ঘটনায় শোকের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বিজেপির অন্দরে।

পাশাপাশি শিলিগুড়ি শহরেও অভিজিতবাবুর মৃত্যুতে তৈরি হয়েছে শোকের আবহ। তবে স্বাভাবিকভাবেই কোনো রাজনৈতিক দলের নেতার মৃত্যু হলেও তাকে অস্বাভাবিক হিসেবেই দেখেন রাজনীতিবিদেরা। কেননা আশা-আশঙ্কার দোলাচলে সব সময় রাজনীতি করতে হয় বিভিন্ন রাজনীতিবিদদের। ফলে সেদিক থেকে দায়িত্ব নিয়ে শিলিগুড়িতে ফিরতে উদ্যত হওয়া অভিজিৎ রায় চৌধুরীর এই মৃত্যুকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে মানতে নারাজ তার পরিবার-পরিজনরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এই ব্যাপারে তাঁর স্ত্রীর আশঙ্কাকে তুলে ধরে বিস্ফোরক দাবি করলেন বাংলার হেভিওয়েট বিজেপি নেতা মুকুল রায়। জানা যায়, কলকাতা থেকে ফেরার পথে বহরমপুরের কাছে অভিজিতবাবুর গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মারে। আর তাতেই প্রাণ হারান তিনি। এদিকে দলের এহেন দক্ষ সাংগঠনিক ব্যক্তির মৃত্যুতে তড়িঘড়ি শিলিগুড়িতে পৌঁছে যান বিজেপি নেতা মুকুল রায়। আর মৃত অভিজিৎবাবুর পরিবার-পরিজনের সঙ্গে কথা বলে বাইরে বেরিয়ে এসে মুকুল রায় বিস্ফোরক দাবি করেন।

তিনি বলেন, “নিহত অভিজিৎ রায় চৌধুরীর স্ত্রী তার স্বামীর মৃত্যু দুর্ঘটনা হিসেবে ধরছেন না। তাঁর অনুমান, তাঁর স্বামীকে খুন করা হয়েছে।” অন্যদিকে এহেন বিজেপি নেতার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলেও তাতে তদন্তপ্রক্রিয়া ঠিকমত চলছে না বলেও এদিন উষ্মা প্রকাশ করেন বিজেপির মুকুল রায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্ঘটনার কথা তুলে ধরে এই বিজেপি নেতা বলেন, “একটি দুর্ঘটনায় চোখে আঘাত লেগেছিল। সেই সময় রাজ্য সরকার যেভাবে তল্লাশি শুরু করেছিল, তার বিন্দুমাত্রও অভিজিৎ রায় চৌধুরীর দুর্ঘটনায় দেখা গেল না।”

তাঁর আরও বক্তব্য, “যাই ঘটনা ঘটে থাকুক না কেন, তার স্বচ্ছ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। ওকে একাধিকবার শাসকদল চমক-ধমক দিয়েছিল।” আর বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের এই মন্তব্যই এখন তীব্র জল্পনার সৃষ্টি করেছে রাজ্য রাজনীতিতে। অনেকে বলছেন, তাহলে কি অভিজিৎ রায় চৌধুরীর দুর্ঘটনায় মৃত্যুকে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে ধরছেন না তার পরিবার-পরিজনেরা! তাই তারা এই ঘটনাকে খুন হিসেবে তুলে ধরায় মুকুলবাবু সেই কথা প্রকাশ্যে এনে পরোক্ষে রাজ্যের শাসকদলের দিকেই প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিলেন! প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!