প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সময়টা ছিল ২০১৯ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারি। সরস্বতী পুজোর আগের দিন। আর প্রায় বছর দুই আগে সেইদিন রাতে নদিয়ার হাঁসখালিতে নিজের বাড়ির কাছেই গুলিতে খুন হয়েছিলেন নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। এরপর ওই মামলায় সিআইডি পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছিল বলে জানা গিয়েছিল। এরপর সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের মামলায় বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিআইডি।

গত বছর ১৪ই জুন গ্রেফতার হওয়া ৫জনের মধ্যে ৩জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়। কিন্তু প্রমানের অভাবে বাকি দুজন নিষ্কৃতি পান। অন্যদিকে, ঘটনার এফআইআর-এ রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার এবং মুকুল রায়কে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে রাখা হয়। যদিও তা প্রথম চার্জশিটে ছিল না বলেই জানা যায়।

এরপর গত ১৪ই সেপ্টেম্বর রানাঘাট আদালতে অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করে জগন্নাথ বাবুকে অভিযুক্ত বলে দাবি করে সিআইডি। তাঁকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন) এবং ১২০-বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারায় অভিযুক্ত করা হয় বলে জানা যায়। সেইসঙ্গে ওই চার্জশিটেই জানানো হয়েছিল যে, মুকুল রায়ের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে। তবে সম্প্রতি এই ঘটনায় বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল সিআইডি।

শনিবার নদিয়ার রানাঘাট আদালতে পেশ করা চার্জশিটে সিআইডি মুকুলের বিরুদ্ধে খুনের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছে বলে জানা গেছে। সেইসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে সিআইডি-র চার্জশিট দেওয়া প্রসঙ্গে মুকুল রায় জানিয়েছেন, ‘‘হতেই পারে, কেন নয়? বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কে? চার্জশিটে নাম দিচ্ছে কে? দপ্তরের মন্ত্রী কে? জিজ্ঞাসা করুন এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীর নাম কি? তিনি জানেন না এই ঘটনায় কারা যুক্ত?”

মুকুল রায়ের অভিযোগ,”মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে, তাঁরই অঙ্গুলিহেলনে যদি আমার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়, তবে এটা একটা বড় হাস্যকর ব্যাপার।’’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্যের পুলিশ তথা স্বরাষ্ট্র দফতরের ভার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। আর এখানেই বিরোধীদের দাবি যে তৃনমূলই ইচ্ছা করে বিজেপিকে সমস্যায় ফেলার জন্য এহেন কাজ করছে বলেই মনে করছেন বিরোধীরা।