এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > বিজেপির ওবিসি মোর্চার সম্মেলনে ঝড় তুললেন মুকুল রায়-জয় ব্যানার্জি জুটি

বিজেপির ওবিসি মোর্চার সম্মেলনে ঝড় তুললেন মুকুল রায়-জয় ব্যানার্জি জুটি


দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে দুদিনের ওবিসি মোর্চার সম্মেলন শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। এই সম্মেলনের প্রধান মুখ হিসাবে আজ উপস্থিত ছিলেন বাংলা থেকে বিজেপির ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটির দুই সদস্য মুকুল রায় ও জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ ও আগামীকাল দুদিন এই সম্মেলন হওয়ার কথা – মুকুলবাবু ও জয়বাবু ছাড়াও আজকের হেভিওয়েট বিজেপি নেতাদের তালিকায় ছিলেন ডঃ সুভাষ সরকার, স্বপন পাল ও সুনীপ দাস।

গতকাল রাজ্য-রাজনীতিতে অন্যতম পরিচিত মুখ ত্বহা সিদ্দিকী জানান, উন্নয়নের স্বার্থে ভবিষ্যতে বিজেপির হাত ধরতে তাঁর কোন অসুবিধা নেই। এই প্রসঙ্গে আজ সম্মেলনের শেষে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুকুল রায় জানান, উন্নয়নের প্রশ্নে সকলকেই গেরুয়া শিবিরে স্বাগত। তবে এই সম্মেলন থেকেই কি আগামী লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল বিজেপি? এই প্রশ্নের উত্তরে মুকুলবাবু জানান, তিনি শুধু সম্মেলনেই এসেছিলেন।

অন্যদিকে, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জয় বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিজেপির মূল সংগঠন ছাড়াও অনেকগুলি শাখা সংগঠন আছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের নির্দেশ আছে যে মূল সংগঠনের সাহায্য নিয়ে প্রতিটি শাখার প্রতিটি জেলাভিত্তিক একটা করে কার্যকারিনী করতে হবে এবং এর মূল উদ্দেশ্য হল মূল সংগঠনের সঙ্গে শাখা সংগঠনের সমন্বয় গড়ে তোলা। রাজ্যের মানুষ রাজ্যজুড়ে সুশান্তি ফেরাতে ‘লালবাবুদের’ সরিয়ে তৃণমূলকে ক্ষমতায় আনে, কিন্তু তৃণমূলের জামানায় বাংলায় ‘গণতন্ত্রের গ্যামাক্সিন’ হয়ে গেছে!

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

জয় বন্দ্যোপাধ্যায় আরো জানান, পশ্চিমবঙ্গবাসীকে এই দুর্বিষহ অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারে একমাত্র নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্ত্বাধীন বিজেপি সরকার। আর তাই ২০২১ সালের বিধানসভাকে লক্ষ্যে রেখে এখন থেকে এই সমন্বয় গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ভরা যৌবন – আপনি যেদিকেই তাকান শুধুই বিজেপি। একদিকে যেমন সংগঠন বাড়ছে – অন্যদিকে তেমনই ২০০৯-২০১১ যেভাবে সিপিএমের বিকল্প হিসাবে মানুষ তৃণমূলকে চেয়েছিল, একইরকমভাবে এখন সাধারণ মানুষ তৃণমূলের বিকল্প হিসাবে মনে-প্রাণে বিজেপিকে চাইছে।

গেরুয়া শিবিরের এই মুহূর্তের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ জয় ব্যানার্জি জানান, চারিদিকে এত সন্ত্রাস হচ্ছে – আমাদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হচ্ছে না, প্রার্থীদের অপহরণ করা হচ্ছে, কর্মীদের আত্মীয়দের ভয় দেখানো হচ্ছে – তা সত্ত্বেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি যা ফল করেছে তাতে তৃণমূলের ঘুম উড়ে গেছে। সেই কারণে তৃণমূল এখন বিজেপির ভূত দেখছে – এতটাই ভীত হয়ে পড়েছে, যে যেখানে বিজেপি বা আরএসএসের সেইভাবে কোন সংগঠন নেই সেখানেও খুনোখুনি হলে বলছে বিজেপি-আরএসএস করেছে! তাই আমরা এক মরণপণ লড়াইয়ে নেমেছি – যে করেই হোক বাংলাকে তৃণমূল-মুক্ত করে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্ত্বে বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠিত করবোই।

অন্যদিকে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি জানান, বাংলায় বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে আগামী ৭-৮ মাস কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সবসময়েই একটাই কথা বলেন – সবকা সাথ, সবকা বিকাশ। কিন্তু, তৃণমূল কংগ্রেস তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে গিয়ে যখন ইমামভাতা দিচ্ছে তখন পন্ডিতরা রেগে যাচ্ছেন, আবার যখন বিজেপির চাপে হিন্দুভোট পেতে দুর্গাপুজোয় অনুদান দিচ্ছেন তখন সংখ্যালঘুরা রেগে যাচ্ছেন! ভারতবর্ষের রাজনীতি এইভাবে হয় না! এই ভাগাভাগির রাজনীতি কিন্তু বিজেপি করে না – আমরা ভারতবর্ষকে একসূত্রে গাঁথতে চাই, আর তাই আমাদের স্লোগান – সবকা সাথ, সবকা বিকাশ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!