“ডেলোর বৈঠকের সাক্ষী আমি ছিলাম” – চিটফান্ড নিয়ে ফের নয়া রহস্য উন্মোচন মুকুল রায়ের কলকাতা রাজ্য April 16, 2019 কিছুদিন আগেই উত্তরবঙ্গের মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সারদা এবং নারদাকান্ডে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলে পাল্টা উত্তরবঙ্গ থেকেই নাম না করে সারদা এবং নারদার মূল পান্ডার সাথে প্রধানমন্ত্রীর সভা করছেন বলে মুকুল রায়কে খোঁচা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরপরই সাংবাদিক বৈঠক করে সারদাকাণ্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডেলোতে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। যে ঘটনা নিয়ে তীব্র উত্তাপ সৃষ্টি হয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। আর তার এই বক্তব্যের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের চিটফান্ড কেলেঙ্কারি নিয়ে আরও একবার মুখ খুলে তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাপে ফেলে দিলেন বঙ্গ রাজনীতির চাণক্য তথা বিজেপি নেতা মুকুল রায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, এদিন ধুপগুড়িতে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়ের সমর্থনে সভা করতে এসে সেইখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে চিটফান্ড কেলেঙ্কারি নিয়ে তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে মন্তব্য করে মুকুল রায় বলেন, “ডেলোর বৈঠকের সাক্ষী আমি ছিলাম। সারদা এবং রোজভ্যালিতে সব থেকে বেশি যদি কেউ সুবিধা নিয়ে থাকেন, তার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সারদা রোজভ্যালি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর অনেক মানুষ তাদের টাকা পায়নি। কিন্তু সব থেকে বেশি সুবিধা পেয়েছেন মমতা ব্যানার্জি।” অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে খণ্ডন করে তার সঙ্গে সারদা এবং অন্য কোনো চিটফান্ডের যদি কোনো প্রমাণ কেউ দিতে পারেন তাহলে তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন বলেও এদিনের মঞ্চ থেকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন মুকুলবাবু। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে যখন শাসক দল বনাম বিরোধীরা একে অপরের বিরুদ্ধে প্রচার করছে, ঠিক তখনই শাসকদল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে নির্বাচনী উত্তাপকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিলেন মুকুল রায় বলে মনে করছে পর্যবেক্ষকদের একাংশ। আপনার মতামত জানান -