এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুকুলের মাস্টারস্ট্রোকে ‘অর্জুন-ধাক্কা’ খেয়েও নির্লিপ্ত থাকার চেষ্টায় শাসকদলের নেতৃত্ব

মুকুলের মাস্টারস্ট্রোকে ‘অর্জুন-ধাক্কা’ খেয়েও নির্লিপ্ত থাকার চেষ্টায় শাসকদলের নেতৃত্ব


লোকসভা ভোটের ঠিক মুখে শাসকদলকে অস্বস্তিতে ফেলে দলবদল করলেন তৃণমূলের হেভিওয়েট বিধায়ক অর্জুন সিং। হাজার বুঝিয়ে এবং আশ্বাস দিয়েও দলে রাখা গেল না তাকে। গেরুয়াশিবিরে চলেই গেলেন তিনি। তবে অর্জুন সিংয়ের বিজেপিতে যোগদানের বিষয়টিকে একদমই গুরুত্ব দিতে চাইছে না তৃণমূল। শুধুমাত্র লোকসভা ভোটে প্রার্থী হওয়ার তাগিদেই দলবদল করেছেন তিনি। এমনটাই দাবী তৃণমূলের।

তাছাড়া বিজেপিতে গিয়ে অর্জুন তেমন সুবিধা করতে পারবে না বলেও বিশ্বাস রয়েছে তৃণমূলের। ভাটপাড়ার বিধায়কের এভাবে দলত্যাগের বিষয়টি একরকম তুচ্ছতাচ্ছিল্যই করলেন ব্যারাকপুরের বিদায়ী সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। কটাক্ষ করে তাকে ‘সুবিধাবাদী’ বলতেও পিছপা হননি তিনি।

একইরকমভাবে অর্জুন সিংকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্রও। তাঁর মতে,অর্জুন সিংয়ের চলে যাওয়ায় কোনো প্রভাব পড়বে না দলের উপর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তায় কোনোভাবেই ভাঁটা পড়বে না। দীনেশ ত্রিবেদী নির্দ্বিধায় জিতে যাবেন। ভোটে যেই প্রার্থী হোন না কেন আসলে লড়াইটা মমতার উন্নয়ন বনাম মোদীর অপশাসনের।

এছাড়া তৃণমূলের যুব সভাপতি তথা ডায়মন্ড হারবারের বিদায়ী সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবী,ব্যারাকপুর থেকে বিজেপির টিকিটে অর্জুন সিং দাঁড়ালে তাঁর হার নিশ্চিত। দীনেশ ত্রিবেদীর কাছে নিদেনপক্ষে ২ লক্ষ ভোটে হারবেন তিনি। অন্যদিকে,দলের আরেক শীর্ষনেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম আবার অবশ্য অর্জুন সিংয়ের এই দলবদলে বেশ ক্ষোভপ্রকাশ করে অর্জুন সিংকে ‘বেইমান’ বলেছেন।

ফিরহাদের বক্তব্য,’শুধুমাত্র ব্যক্তিগত স্বার্থে যাঁরা দল করছেন, তাঁদের দলের বাইরে বেরিয়ে যাওয়াই ভাল।’ একই সুরে কথা বললেন বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু রায়ও। তিনিও দাবী করলেন,অর্জুন সিং যদি বিজেপি প্রার্থী হন তাহলে দীনেশ ত্রিবেদীর কাছে অন্তত ২ লক্ষেরও বেশি ভোটে হারবেন। তবে অর্জুন সিং যে দলবদল করবেন তার গুঞ্জন আগেই শোনা গিয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

লোকসভা ভোটের মুখে দলবদল করে সেই জল্পনাই সত্যি করলেন। অর্জুনের দলবদলের পর শুভ্রাংশু সাফ কথায় জানলেন,’যতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন, ততদিন আমিও তৃণমূলেরই। যিনি চলে গিয়েছেন, তাঁকে নিয়ে ভাবার দরকার নেই। নেত্রী যখন যাঁকে ভোটে লড়াইয়ের নির্দেশ দেবেন, তা গ্রহণ করে নেব আমরা।’ এই দলবদল নিয়ে পারিবারিক এবং রাজনৈতিক মনোমালিন্যের কথাও আর গোপন করলেন না তিনি।

উল্লেখ্য, ভাটপাড়ার বিধায়ক এর সঙ্গে পুরসভার চেয়ারম্যানও অর্জুন সিং। তিনি দলবদলের সঙ্গে সঙ্গে ২২ জন কাউন্সিলরকে নিয়ে বিজেপিতে নিয়ে এসেছেন বলেই দাবী গেরুয়াশিবির কর্তাদের। এর জেরে ৩৫ আসন বিশিষ্ট পুরসভার বেশিরভাগ কাউন্সিলর বিজেপিতে চলে আসায় ব্যারাকপুর আসনে জয়ের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে গেল বিজেপির।

বলাবাহুল্য,তৃণমূল মুখে স্বীকার না করলেও পরিস্থিতি অনেকটাই উদ্বেগের হয়ে উঠেছে তৃণমূলের পক্ষে। ভারী সংখ্যাক কাউন্সিলররা বিজেপিতে চলে যাওয়ায় ভাটপাড়া পুরসভা এখন পুরোটাই বিজেপির দখলে চলে গিয়েছে,এমনটা বলাই যায়। এই অবস্থায় কী করা উচিৎ তা স্থির করতে তড়িঘড়ি করে পুরসভার বাকি তৃণমূল কাউন্সিলরদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসলেন জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

সঙ্গে ছিলেন তাপস রায় এবং নির্মল ঘোষও। অর্জুন সিংয়ের দলবদল প্রসঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বক্তব্য,’শুধু টিকিট পাননি বলে দল ছেড়ে চলে গেলেন অর্জুন সিং। এতে দলের কী করার আছে?’ মুখে স্বীকার না করলেও লোকসভা ভোটের মুখে এবার সংগঠনে ধ্বস নামায় যথেষ্ট চাপে রয়েছে তৃণমূল,এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!