এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সব্যসাচী দত্তের সঙ্গে মুকুল রায়ের সান্ধ্য বৈঠক ঘিরে তুমুল জল্পনা শুরু রাজ্য রাজনীতিতে

সব্যসাচী দত্তের সঙ্গে মুকুল রায়ের সান্ধ্য বৈঠক ঘিরে তুমুল জল্পনা শুরু রাজ্য রাজনীতিতে


মুকুল রায় কিছুদিন আগে তাঁর অনুগামীদের বলেছিলেন, কিছুদিন অপেক্ষা করো, বেশ কিছু বড় উইকেট পড়বে। সেই খবর আমরা প্রকাশ করার পর, এক বিশেষ রাজনৈতিক দলের বেশ বড় সংখ্যক উগ্র সমর্থকের ‘অমৃতবাণী’ মুকুল রায়ের উপর তো বটেই, আমাদের উপরেও কম বর্ষিত হয় নি! কিন্তু, কালক্রমে দেখা যাচ্ছে, মুকুলবাবুর দাবি আদতে কোনো ফাঁকা আওয়াজ ছিল না, একের পর এক উইকেট তিনি তুলেই যাচ্ছেন। সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া তাঁর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এক যুবনেতার অবশ্য দাবি, এ তো সবে ট্রেলার! আসল সিনেমা এখনো কিছু শুরুই হয় নি!

আর এইসবের মাঝেই গতকাল সন্ধ্যেবেলা বিজেপি নেতা মুকুল রায় তৃণমূল বিধায়ক তথা বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্তের সঙ্গে ঘন্টা দেড়েক একান্ত বৈঠক করলেন। আর সেই বৈঠক ঘিরেই চূড়ান্ত জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে। কেননা, গত নভেম্বরের এক শীতের সন্ধ্যায়, যখন ৬, মুরলীধর সেন লেনের রাজ্য সদর দপ্তরের তিনতলায় মুকুলবাবুর ঘরে তাঁর সঙ্গে সাংবাদিকদের আড্ডা চলছিল, তখন সাংবাদিকরা বিভিন্ন লোকসভা আসনে বিজেপির সাম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে আলোচনা করতে থাকে। তখন, মুকুলবাবু বলেন বারাসত আসনে নাকি সুপার চমক আছে!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেক প্রশ্নের পরেও নাম ভাঙতে চান নি, বঙ্গ রাজনীতির পোড় খাওয়া এই রাজনীতিবিদ। তবে, তখন থেকেই সাংবাদিক মহলে জল্পনা শুরু হয়ে যায়, তাহলে কি মুকুলবাবু বারাসত আসনে সব্যসাচী দত্তকে প্রার্থী করেই এই ‘সুপার চমক’ দিতে চান? এই নিয়ে না মুকুলবাবু, না সাব্যসাচীবাবু – কেউই প্রকাশ্যে কোনোদিন মুখ খোলেননি। কিন্তু কালকের বৈঠকের পরেই, এই জল্পনা রাজ্য-রাজনীতিতে উল্কার গতি পেয়েছে। তবে, এই বৈঠককে মুকুলবাবু নিজে বলেছেন, সৌজন্য সাক্ষাৎ! কিন্তু, লোকসভা নির্বাচনের মুখে, মুকুলবাবুর এই ‘সৌজন্য-সাক্ষাৎ’ ঘিড়ে প্রশ্ন উঠছে হাজারো! যেখানে, বিজেপি বা মুকুলবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা নিয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তৃণমূলনেত্রী, তখন সেসবকে পাত্তা না দিয়ে সাব্যসাচীবাবু এতখানি ‘ঝুঁকি’ নিলেন কেন?

যদিও মুকুলবাবু বৈঠক সেরে বেরিয়ে জানান, সাব্যসাচীবাবু তাঁর ভাইয়ের মত। যখনি তাঁর ‘ক্ষিদে’ পায় তিনি সাব্যসাচীবাবুর বাড়ি আসেন – দু সপ্তাহ আগেও এসেছেন, দুমাস আগেও এসেছেন, আজও এসেছেন! লুচি, আলুর দম ও ছানার জিলিপি খেয়েছেন! ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক বা ভারত-অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করেছেন – কিন্তু কোনো ‘রাজনীতির’ কথা হয় নি! প্রসঙ্গত, মুকুলবাবু যখন তৃণমূলে ছিলেন তখন সাব্যসাচীবাবু তাঁর অনুগামী হিসাবেই পরিচিত ছিলেন। অন্যদিকে, মুকুলবাবু দল ছাড়ার পর সাব্যসাচীবাবুকেই মুকুলবাবুর জায়গায় ত্রিপুরার পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করেন তৃণমূল নেত্রী। তাই, লোকসভার আগে হঠাৎ করে ‘দাদা-ভাইয়ের’ সম্পর্কের ‘পুনর্মূল্যায়ন’ করে মুকুল রায় ও সব্যসাচী দত্তের এই বৈঠক ঘিড়ে চূড়ান্ত জল্পনা রাজ্য-রাজনীতিতে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!