এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুজো মিটতেই চাপ বাড়িয়ে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার মুকুল রায়ের দুই ছায়াসঙ্গী

পুজো মিটতেই চাপ বাড়িয়ে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার মুকুল রায়ের দুই ছায়াসঙ্গী

পুজোর আগেই তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগী বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের নতুন দল বিজেপি তাঁকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের বঙ্গ-বিজেপির আহ্বায়কের মত গুরুত্ত্বপূর্ন পদ দিয়েছে। আর এই নতুন পদ পেতেই, মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ অনুগামী বৃত্তের দাবি ছিল শাসকদলের একাধিক হেভিওয়েট নেতার বিজেপিতে পদার্পন শুধু নাকি সময়ের অপেক্ষা। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে অর্ধেকেরও বেশি আসন জিততে চান নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা। আর সেই লক্ষ্যে, রাজ্য-রাজনীতিতে বেশ বড় রকমের পট পরিবর্তন হতে চলেছে।

তা কতটা বাস্তবিক সেকথা সময়ই বলবে – কিন্তু, পুজো মিটতেই মুকুল রায়ের উপর বড়সড় চাপ সৃষ্টি করে দিল যে কলকাতা পুলিশ, সেকথা বলাই বাহুল্য। মুকুল রায়ের ছায়াসঙ্গী হিসাবে পরিচিত সুরজিৎ মাহাতো ও রাজু সরকারকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। যদিও এই গ্রেপ্তারি নিয়ে কিছুই জানা যাচ্ছে না কলকাতা পুলিশের তরফে – তবে, রাজ্য-বিজেপির একটি সূত্রের খবর অনুযায়ী, মুকুলবাবুর এই দুই ছায়াসঙ্গীকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে দিল্লি থেকে এবং ইতিমধ্যেই তাদের আদালতে পেশ করা হয়েছে।

রাজ্য-বিজেপির ওই সূত্রের আরও দাবি, আদালতে ওই দুই ব্যক্তিকে পেশ করা হলে তাঁদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। বর্তমানে তাঁদের বড়বাজার থানায় রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু কেন এই গ্রেপ্তারি? রাজ্য-বিজেপির ওই নেতার স্পষ্ট দাবি – এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছুই নয়। রাজ্যের শাসকদলের পায়ের তলায় মাটি সরে যাচ্ছে – তাই পুলিশ-প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে এইভাবে মুকুলবাবু তথা বিজেপিকে আটকানোর চেষ্টা চলছে। যদিও, এই নিয়ে সরকারিভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি, কিন্তু শাসকদলের একটি অংশের মত – পুলিশ-প্রশাসন নিজেদের কাজ করছে, এর মধ্যে রাজনীতি খুঁজতে যাওয়ার কোন মানে হয় না।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

যেহেতু, এই ব্যাপারে কিছুই জানা যাচ্ছে না কলকাতা পুলিশের তরফে – তাই গ্রেপ্তারির কারণ নিয়ে বাড়ছে জল্পনা। আপাতত, বিভিন্ন সূত্র থেকে দুটি তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমত, কিছুদিন আগেই এক সরকারি কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ, যাঁর কাছে নগদ ৮০ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। সেই মামলার সূত্র ধরেই গ্রেপ্তার হলেন সুরজিৎ মাহাতো ও রাজু সরকার। অন্য একটি সূত্রের আবার দাবি, রেলমন্ত্রী থাকার সময়ে চাকরি দেবার নাম করে মুকুলবাবুই নাকি বিভিন্ন ঘনিষ্ঠ লোককে দিয়ে সেই সময় প্রচুর টাকা তোলেন। সেই মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছেন মুকুলবাবুর শ্যালক। এমনকি, সেই মামলায় নাম রয়েছে মুকুল রায়েরও। কিন্তু তিনি আদালতে আগাম জামিন নিয়ে আপাতত গ্রেপ্তারির থেকে দূরে। আর সেই জামিন নাকচ করে মুকুলবাবুকে গ্রেপ্তার করতেই তাঁর দুই ঘনিষ্ঠকে গ্রেপ্তার করা হল সেই মামলায়।

কিন্তু কে এই সুরজিৎ মাহাতো ও রাজু সরকার? সুরজিৎ মাহাতো মুকুলবাবুর দীর্ঘদিনের ছায়াসঙ্গী এবং আপ্ত-সহায়ক। ইতিমধ্যেই, মুকুলবাবু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই সুরজিৎবাবুর ভাই শুভজিৎ মাহাতোকে পুলিশ মাদক-কেসে গ্রেপ্তার করে। শুভজিৎবাবু এখনও জেলে রয়েছেন। পুরুলিয়ার বাসিন্দা সুরজিৎবাবু মুকুল রায়ের ছায়াসঙ্গী হিসাবে পরিচিত হলেও ইদানিং মুকুলবাবুর সঙ্গে দেখা যাচ্ছিল না তাঁকে। অন্যদিকে, দমদমের রাজু সরকার সিপিএমের রাজ্যসভার এক সাংসদের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত ছিলেন। কিন্তু, সম্প্রতি তিনি মুকুলবাবুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ান। বিজেপি সূত্রের দাবি, দুজনকেই একসাথে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সবমিলিয়ে পুজো মিটতেই টানটান রাজ্য-রাজনীতি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!