এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পরে এসেও পদ পেলেন সব্যসাচী-দুলালরা, এখনও পদহীন মুকুল! জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে গেরুয়া শিবিরেই!

পরে এসেও পদ পেলেন সব্যসাচী-দুলালরা, এখনও পদহীন মুকুল! জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে গেরুয়া শিবিরেই!


অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্য-রাজনীতির হেভিওয়েট নেতা মুকুল রায়। আর তাঁর যোগদানের পরেই একের পর এক নির্বাচনে ক্রমশ উর্ধগামী হতে থাকে বিজেপির বিজয়-গ্রাফ, হুহু করে বাড়তে থাকে ভোটব্যাঙ্ক। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টিতে এখনও কার্যত পদহীন মুকুল রায়। আজ দ্বিতীয়বারের জন্য রাজ্য সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পাওয়া দিলীপ ঘোষ তাঁর নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা করেন।

আর সেই ঘোষণার শেষে কোথাও নেই মুকুল রায়ের নাম! আর তারপরেই গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই শুরু হয়েছে তীব্র জল্পনা। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখতে শুরু করেছেন, বাংলায় লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ১৮ টি আসন দেওয়ার অন্যতম কারিগর মুকুল রায়। অথচ, তাঁকে ‘নাম কে ওয়াস্তে’ ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য করে রাখা হয়েছে। একের পর এক নির্বাচনে সাফল্য দিলেও কেন মুকুল রায়কে এইভাবে ব্রাত্য করে রাখা হচ্ছে?

আরেকদল গেরুয়া সমর্থক লিখছেন, এটা বিজেপি – এই দলে একটা নিয়মশৃঙ্খলা আছে। এলাম আর পদ পেয়ে গেলাম – এই ধরনের ঘটনা স্থানীয় দলের ক্ষেত্রে হতে পারে, কিন্তু বিজেপিতে নয়। ফলে, মুকুল রায় মানেই তাঁকে পদ দিতে হবে এমন কিছু ব্যাপার নয়। ভালো করে দল করলে, দল যখন উপযুক্ত মনে করবে তখনই দেওয়া হবে পদ। তবে এই শিবিরকে আবার পাল্টা দিয়েছেন অন্য শিবির। তাঁদের বক্তব্য, মুকুল রায়ের হাত ধরে দলে আসা সব্যসাচী দত্ত, খগেন মুর্মু, সৌমিত্র খাঁ, ভারতী ঘোষ বা দুলাল বররা তাহলে কোন যুক্তিতে পদ পান?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদল, আবার জানাচ্ছেন – মুকুলবাবু বড় ‘প্লেয়ার’। তিনি ভারতের রেলমন্ত্রী ছিলেন, ফলে তাঁকে রাজ্য কমিটিতে কোন পদ দেওয়া মানে আদতে ‘অপমান’ করা। তাঁর মাপের নেতাকে পদ দিতে গেলে জাতীয়স্তরে দিতেই হবে। আর এই কথাটা অমিত শাহ-জেপি নাড্ডারা খুব ভালো করেই বোঝেন। আর বিজেপি জানে যোগ্য নেতাদের কিভাবে যোগ্য সম্মান দিতে হয়। ফলে, কিছুদিন অপেক্ষা করলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে মুকুল রায়কে বিজেপি ঠিক কি দিল।

অন্য একদল আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তরজা তুলেছেন, মুকুল রায় যখন তৃণমূলে ছিলেন, তখন তিনিই দলের অঘোষিত দুনম্বর নেতা ছিলেন। দলের সাংগঠনিক দিক নিয়ে শেষ কথা বলতেন তিনিই। অথচ বিজেপিতে গিয়ে সংগঠন নিয়ে কার্যত তাঁর কোনো এক্তিয়ারই নেই। না আছেন তিনি নিজে কোনো দলীয় পদে, না তাঁর অনুগামীরা। ফলে, এই জিনিস চলতে থাকলে বিজেপিতে মুকুল রায় ও তাঁর অনুগামীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে যেতে বাধ্য। ফলে সবমিলিয়ে নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা হতেই, বঙ্গের গেরুয়া শিবিরে মুকুল রায়কে নিয়ে একগুচ্ছ জল্পনা সামনে চলে এল।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!