এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নেতৃত্বের বিশেষ চিন্তাভাবনাকে আমাদের এক্সিকিউট করতে হবে – জল্পনা বানালেন মুকুল রায়

নেতৃত্বের বিশেষ চিন্তাভাবনাকে আমাদের এক্সিকিউট করতে হবে – জল্পনা বানালেন মুকুল রায়


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরেই ছিল তার স্থান। এক কথায় তাকেই বলা হত তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। কিন্তু সেই তিনিই কার্যত দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে তৃণমূল ছেড়ে প্রায় বেশ কিছু বছর আগে যোগ দেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। তবে পদ্মে নাম লেখালেও মুকুল রায়ের পদ্ম লাভ হয়নি। লোকসভা নির্বাচনে দলকে সাফল্য পাইয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা, বিধায়কদের ভাঙিয়ে বিজেপিতে যোগদান করানো।

একের পর এক খেলায় বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের নজরে এসেছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও সে ভাবে বিজেপিতে এখনও পর্যন্ত তাকে কোনো পদ দেওয়া হয়নি। সাম্প্রতিক কালে তার দিল্লি যাওয়া নিয়ে তীব্র জল্পনা সৃষ্টি হয়েছিল। অনেকেই ভেবেছিলেন, এবার হয়ত মুকুল রায়কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে দিল্লি গেলেও, মুকুল রায়ের ব্যাপারে পদলাভের বিষয়ে কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এখনও পর্যন্ত তিনি বিজেপিতে পদহীন অবস্থাতেই রয়েছেন।

তবে তার এই দিল্লি সফর যে অত্যন্ত ভালো হয়েছে, তা বাংলায় ফিরে এসেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানিয়ে দিয়েছেন মুকুল রায়। বিশেষ সূত্র মারফত খবর, মুকুল রায়ের চাণক্য বুদ্ধিতে ভরসা রেখেছেন অমিত শাহ। যেখানে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই সমস্ত রকম প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য মুকুল রায়কে জানিয়ে দিয়েছেন অমিত শাহ বলে খবর। এদিন এই প্রসঙ্গে অমিত শাহর সঙ্গে তার কি কথা হল! সেই প্রশ্নের উত্তরে মুকুল রায় বলেন, “উনি না ডাকলে এই অবস্থায় কেউ দিল্লি যায় না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মুকুলবাবু স্পষ্ট জানিয়েছেন, “উনি ডেকে কথা না বললে কথা হত না। একদিন না, উনি আমার সঙ্গে দুদিন কথা বলেছেন। খুব সিরিয়াস কথা হয়েছে। আমিও খুশি। রাজ্যের 2021 বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে উনি খুব সিরিয়াস।” কিন্তু তার পদ পাওয়া নিয়ে সমগ্র মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে এবং তার অনুগামীরা যেভাবে তার বিজেপিতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা পাওয়া নিয়ে আশায় দিন বাড়ছে, তাতে শেষপর্যন্ত কি হবে! তিনি কি বিজেপিতে এভাবেই থেকে যাবেন, নাকি কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদ পাবেন?

এদিন এই প্রসঙ্গে মুকুল রায় বলেন, “রাজ্যে পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে কনভেনর ছিলাম। পৌরসভা নির্বাচনেরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তবে করোনা পরিস্থিতিতে তা স্থগিত রাখা হয়েছে। দেখা যাক, তবে নেতৃত্বের বিশেষ চিন্তাভাবনাকে আমাদের এক্সিকিউট করতে হবে।” আর মুকুলবাবুর এই মন্তব্যেই এখন শুরু হয়েছে জল্পনা। অনেকে বলছেন, অমিত শাহর সঙ্গে মুকুল রায়ের দিল্লিতে বৈঠকেই কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, পদ না পেলেও মুকুল রায়কে আগামী দিনে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কেননা অমিত শাহ ভালই জানেন, তৃণমূলকে ভাঙাতে গেলে মুকুল রায়ের দরকার।

সেদিক থেকে মুকুলবাবু পরিপক্ক রাজনীতিবিদ হিসেবে তৃণমূলের ভেতরকার খবর জানেন। ইতিমধ্যেই একাধিক তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতাকে তিনি গেরুয়া শিবিরে যোগদান করিয়েছেন। আর তারাই বর্তমানে বিজেপি রাজ্য কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন। সেদিক থেকে মুকুল রায় যে অনেকটাই গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে, তা নতুন রাজ্য কমিটি গঠনেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। এখন দিল্লি থেকে রাজ্যে ফিরে আসা মুকুল রায় আশার কথা শোনালেও বাস্তব কি হয়, তিনি কতটা গুরুত্বপুর্ন ভারতীয় জনতা পার্টিতে, এখন সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!