এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > কালীঘাটের ‘বেনামি’ সম্পত্তি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা ‘প্যাঁচে’ ফেলে দিলেন মুকুল রায়

কালীঘাটের ‘বেনামি’ সম্পত্তি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা ‘প্যাঁচে’ ফেলে দিলেন মুকুল রায়

মাত্র কদিন আগেও তাঁরা পরস্পরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মুখর ছিলেন। আর এখন অভিযোগের বিষয় পরিবর্তিত হয়ে দাঁড়িয়েছে – কার নামে কত বেনামী সম্পত্তি রয়েছে । কয়েকদিন আগে উত্তর ২৪ পরগনার সদর শহর বারাসত সফর ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণে জেলার বীজপুর, হালিশহর, কাঁচরাপাড়া অঞ্চলে বেনামি সম্পত্তি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই ইঙ্গিত সাধারণ মানুষের বুঝতে অসুবিধা হয়নি। প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী উল্লিখিত ঐ সকল অঞ্চল মুকুল রায়ের গড় হিসাবে পরিচিত, আর তাই নাম না করলেও ইঙ্গিতটা যে দলের একসময়ের অঘোষিত দুনম্বর নেতার দিকেই ছিল বুঝে নিতে অসুবিধা হয় না।

বারাসাত সফর কালে মুখ্যমন্ত্রীর করা ঐ ইঙ্গিতের পালটা দিয়ে গত শুক্রবার বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায় বলেন, কালীঘাট সংলগ্ন অঞ্চলে কার কত বেনামি সম্পত্তি আছে, তাও খতিয়ে দেখা উচিত। প্রসঙ্গত, বীজপুর, হালিশহর, কাঁচরাপাড়া যেমন মুকুল রায়ের ‘গড়’, তেমনি কালীঘাট অঞ্চলে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর আত্মীয় পরিজনদের বাস। বেনামী সম্পত্তি প্রসঙ্গে মুকুলবাবু সংবাদমাধ্যমকে জানান, আমি জানি না উনি কার সম্পর্কে কী বলেছেন। তবে আমার কী সম্পত্তি আছে, সে সম্পর্কে উনি সিআইডি, ইন্টারপোল, সিবিআই – যাকে ইচ্ছা তাকে দিয়ে তদন্ত করে দেখতে পারেন। এর সাথে সিপিএম জমানার শেষ মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জন্মদিনে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছা বার্তা সহ কেক-ফুল-মিষ্টি পাঠানো ঘটনা কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ডিগবাজি’ বলেও কটাক্ষ করেছেন মুকুল বাবু।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!